বগুড়ায় মাওলানা শহিদুল ইসলাম নামে এক মাদরাসার শিক্ষকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার নামুজা সরদারপাড়া এলাকায় ওই শিক্ষকের শোবার ঘর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

মাওলানা শহিদুল ইসলাম ওই এলাকার আজিম উদ্দীনের ছেলে। তিনি নামুজা ফাজিল মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।

বগুড়া সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মন্তাজ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গত দেড় বছর আগে শহিদুল ইসলামের প্রথম স্ত্রী মারা যান। এরপর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। পরে তিনি ২য় বিয়ে করলেও মানসিক অসুস্থতা না কমায় চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত তিন দিন আগে তার ২য় স্ত্রী সন্তান প্রসব করেন। তাই শহিদুল ও তার স্ত্রী আলাদা কক্ষে থাকতেন। আজ শুক্রবার সকালে তার ২য় স্ত্রী তাকে ফজরের নামাজ আদায় শেষে অন্য ঘরে যেতে দেখেন। পরে সকাল ৮টার দিকে কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সেই ঘরে তীরের সঙ্গে গলায় মাফলার পেঁচানো অবস্থায় শহিদুল ইসলামের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।

নামুজা ফাজিল মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য আবু জাফর জানান, শহিদুল ইসলাম আরবি পড়াতেন। তিনি গত ছয় মাস ধরে মানসিক সমস্যায় ভুগছিলেন। তবে এটি হত্যা নাকি আত্মহত্যা তা ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে। 

এসআই মন্তাজ আলী জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে এবং সেই অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

আলমগীর হোসেন/এমজেইউ