শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, দূষণমুক্ত শিল্প-কলকারখানা স্থাপন করাই হবে আমাদের আগামীর শিল্প বিপ্লব। এই লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ঢাকা থেকে বরিশাল খুব বেশি দূরে না, নিকটেই। সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বরিশালে ইপিজেড করার। ভোলা থেকে গ্যাস আসবে এখানে। বরিশালকে নিয়ে শিল্পভাবনা রয়েছে বলেই আজকে সেই সম্ভাবনাগুলো যাছাই করতে এসেছি। আমরা চাই দ্বিতীয় বাণিজ্যিক হেডকোয়ার্টার হবে বরিশাল।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বরিশাল সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত জনপ্রতিনিধি, রাজনৈতিক ব্যক্তি, ব্যবসায়িক প্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

শিল্পমন্ত্রী বলেন, একটি অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য বিসিক খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। বরিশাল বিসিক শুনলাম শহরের মধ্যে চলে এসেছে। বিষয়টি বরিশালের মেয়রের কাছ থেকে জানতে পারলাম। 

ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা জানিয়েছেন ট্রেড লাইসেন্স দিচ্ছে না সিটি করপোরেশন। আমি বলবো, সঠিক নিয়ম অনুসরণ করলে অবশ্যই সিটি করপোরেশন ট্রেড লাইসেন্স দেবে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিসিকে আমরা একটি নতুন শিল্প পার্ক করতে পারি। যাতে করে একটি আধুনিকায়নের সকল সুযোগ-সুবিধা বিসিক নগরীতে থাকে। এটিকে আমরা বণিজ্যিক স্থানে পরিণত করব। এটিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করে দেব। যাতে বিসিসি আরো উন্নত করতে পারে।

পদ্মা সেতু হওয়ার পর পরই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক সকলে মিলে উন্নয়ন কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, বরিশাল একটি শষ্যভাণ্ডার। এই অঞ্চলকে ব্যবসায়িক জোন হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। এখান থেকেই সরাসরি পণ্য রপ্তানি করতে হবে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সঙ্গে যদি এটা লিংক হয়ে যায় সারা বাংলাদেশের সঙ্গে এটা সেন্টার পয়েন্ট হয়ে যাবে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব জাকিয়া সুলতানা, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য আব্দুল বাকি, বিসিকের চেয়ারম্যান মুহা. মাহাবুবুর রহমান, পুলিশের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজি এসএম আখতারুজ্জামান, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরএআর