মাওলানা মামুনুল হক লাঠি হাতে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা করেন

শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেলিকপ্টারে চড়ে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় এসেছেন হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী। সোমবার (১৫ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে দিরাই বাসস্ট্যান্ডের হেলিপ্যাড মাঠে তিনি অবতরণ করেন। 

এ সময় হেলিকপ্টার থেকে নামতেই উৎসুক জনতা আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর সঙ্গে হাত মেলানোর জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আয়োজকদের হিমশিম খেতে হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে লাঠি হাতে নেমে পড়েন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক।

দিরাই উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোক্তার হোসেন চৌধুরী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শানে রিসালাত সম্মেলনে যোগ দিতে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী দিরাই এসেছেন। উনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ এসেছেন। উনি হেলিকপ্টার থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে এসব মানুষ হাত মেলানোর জন্য ভিড় করেন। মানুষের ভিড় সামাল দিতে আমাদের বেগ পেতে হয়েছে। লাঠি হাতে তাদেরকে সামাল দিয়েছি। এ সময় হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে স্বেচ্ছাসেবকদের সহযোগিতা করেন। 

তিনি আরও বলেন, হেফাজতে আমির বৃদ্ধ মানুষ। মানুষের ভিড়ে অসুস্থ হয়ে যাবেন। ফলে আয়োজন সফল করতে আমাদের ৬০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত ছিল। 

শানে রিসালাত সম্মেলনে মানুষের ঢল

দিরাই থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ঢাকা পোস্ট বলেন, আমরা সব সময় ঘটনাস্থলে ছিলাম না। তাদের সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরাই শৃঙ্খলার দায়িত্বে ছিলেন।

শানে রিসালাত সম্মেলনে হেফাজতে ইসলামের আমিরের সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম খান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনাইদ আল-হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা নাছির উদ্দিন মুনির প্রমুখ।

হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী শানে রিসালাতের সম্মেলন শেষ করে বিকেল ৫টায় সুনামগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন।

সাইদুর রহমান আসাদ/আরএআর