জয়পুরহাট থেকে রাঙামাটিতে তীর্থ ভ্রমণে এসে নৌকা ডুবে দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের রিজার্ভ বাজার ডিসি বাংলো এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- পুষ্প রাণী (৭০) ও হেবনা রাণী (৫৫)। আহতরা হলেন- মীনা রাণী বর্মন (৪৫), নমিতা বর্মন (৩৫) ও সতীন্দ্র মন্ডল (৬০)। 

রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. শওকত আকবর বলেন, নৌকাডুবির ঘটনায় আমাদের কাছে পাঁচজনকে আনা হয়েছিল। তার মধ্যে দুইজন হাসপাতালে আনার আগেই মারা যায়। আর বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে। একজনের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. আরমান হোসাইন বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে আমরা দেখতে পাই ডিসি বাংলোর পাশে কাপ্তাই হ্রদে একটি নৌকা গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ডুবে যাচ্ছে। পরে আমরা পাশে থাকা আরও কিছু নৌকাকে ডাক দেই এবং উদ্ধার করতে যাই। আমরা মোট পাঁচজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনি। এখানে আনার পর জানতে পারি দুইজন নারী মারা গেছেন।  

আহত একজনের আত্মীয় পল্টু বর্মন বলেন, আমরা পলওয়েল পার্ক ঘুরতে যাওয়ার আগেই সন্ধ্যার দিকে ডিসি বাংলোর পাশে নৌকা ডুবে যায়। আমরা প্রায় ৬০ জনের বেশি ছিলাম। হঠাৎ করে কিসে যেন নৌকা ধাক্কা লাগে এবং ডুবতে শুরু করে। পরে আমরা প্রাণ বাঁচাতে ঝাঁপ দেই। দুর্ঘটনার পরপরই রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং পুলিশ সুপার মীর আবু তৌহিদ আহতদের দেখতে হাসপাতালে আসেন। 

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা বলেন, রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে মোট পাঁচজনকে আনা হয়েছিল। যার মধ্যে আমরা দুইজন নারীকে মৃত অবস্থায় পেয়েছি। বাকি আহত তিনজনের মধ্যে একজন পুরুষ, দুইজন নারী। দুই নারীর অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। পুরুষ আশঙ্কামুক্ত নয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নৌকাটির সবাই তীর্থযাত্রী। তারা গতকাল সীতাকুণ্ড এসেছিলেন। আজ রাঙামাটি এসেছেন। মোট ৫৯ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। মারা গেছেন দুইজন এবং আহত তিনজন। আহতদের উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। 

মিশু মল্লিক/আরএআর