প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়া গ্রামের কয়া চাইল্ড হেভেন স্কুলে বোরকা পরিহিত ছাত্রীদের হেনস্তা ও নবীকে কটুক্তির অভিযোগে প্রধান শিক্ষক আবু সালেহকে গ্রপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্রীদের অভিভাবক মামলা দায়ের করেন। 

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ভোর ৪টার দিকে কয়া গ্রাম থেকে শিক্ষক আবু সালেহকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন। 

ভুক্তভোগী ছাত্রীরা বলেন, আমরা নিয়মিত বোরকা পরে স্কুলে যাই। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সালেহ স্যার আমাদের বোরকা পরতে নিষেধ করেছেন। বোরকা পরে স্কুলে গেলে তিনি আমাদের বিদ্যালয় থেকে বের করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। তিনি আমাদের হেনস্তা করেছেন ও নবীকে কটুক্তি করেছেন। আমরা তার উপযুক্ত বিচার চাই। 

হেনস্তার শিকার ছাত্রী ও অভিভাবকরা আরও বলেন, বোরকা পরতে নিষেধ ও হেনস্তা করায় সোমবার স্কুল চলাকালীন প্রধান শিক্ষক আবু সালেহ অফিস রুমে কয়েকজন অভিভাবক ও ছাত্রী গিয়েছিলাম। আমরা প্রতিবাদ করলে ওই শিক্ষক ছাত্রীদের বোরকা পরে স্কুলে আসতে নিষেধ করেন এবং অভিভাবকদের সামনে নবীকে কটুক্তি করেন। 

এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী, ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা। পরে গতকাল মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর অভিভাবক। 

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুমারখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও উপজেলা শিক্ষা অফিসারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি। 

এ ব্যাপারে কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ ঢাকা পোস্টকে বলেন, তদন্ত করে নিয়ম অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

কুমারখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহসীন হোসাইন ঢাকা পোস্টকে বলেন, বোরকা পরা ছাত্রীদের হেনস্তা ও নবীকে কটুক্তির মামলায় প্রধান শিক্ষক আবু সালেহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তার করতে খুব বেগ পেতে হয়েছে। সে পার্শ্ববর্তী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় পালিয়ে বেড়িয়েছেন। পরে বুধবার ভোরে তার বোনের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর অভিভাবক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। 

রাজু আহমেদ/আরকে