মো. নুর ইসলাম নুরু

মাদারীপুর সদর উপজেলার ওমানপ্রবাসী এক ব্যক্তি আগের বিয়ের তথ্য গোপন রেখে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আরেক বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে। আগের বিয়ের তথ্য জানতে পেরে দ্বিতীয় স্ত্রী এসে হাজির হন প্রথম স্ত্রীর বাড়িতে। সোমবার (১৫ মার্চ) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার হাজির হাওলা ২ নম্বর ব্রিজ এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় ওমানপ্রবাসী মো. নুর ইসলাম নুরুকে (৩০) আটক করেছে মাদারীপুর সদর মডেল থানার পুলিশ। নুর ইসলাম কালকিনি ডাসার থানার বোতলা এলাকার মৃত ছেকান শেখের ছেলে।

সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক বছর আগে মো. নুর ইসলাম সদর উপজেলার হাজির হাওলা ২ নম্বর ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা মাসুদ সরদারের মেয়ে মারিয়া আক্তারকে (২২) ওমান থাকা অবস্থায় ভিডিও কলের মাধ্যমে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর মো. নুর ইসলাম নুরু (৩০) দেশে এসে আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন।

কিছুদিন পর ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালি থানার চররশিপুর এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিনের মেয়ে শান্তি আক্তারের সঙ্গে নুর ইসলামের পরিচয় হয়। পরে দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সে সম্পর্ক বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু নুর ইসলাম আগের বিয়ের তথ্য ও তার স্থায়ী ঠিকানা শান্তি আক্তারের কাছে গোপন করেন। শান্তি আক্তার কিছুদিন পর নুর ইসলামের প্রথম বিয়ের তথ্য জেনে যান।

গতকাল রাতে শান্তি আক্তার এসে হাজির হন নুর ইসলামের প্রথম স্ত্রীর বাসায়। পরে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে জানালে পুলিশ এসে নুর ইসলামকে আটক করে।

শান্তি আক্তার প্রতারণার শিকার হয়েছেন জানিয়ে বলেন, তিন মাস আগে নুর ইসলাম আমাকে বিয়ে করে। বিয়ের পর সে আমার বাড়িতে অনেকবার গিয়েছে। আমাদের এলাকার সবাই বিষয়টি জানে। সে আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করবে, তা আমি ভাবতেও পারি নাই। আমি এখন এলাকায় গিয়ে মুখ দেখাব কীভাবে? আমি এর বিচার চাই।

এদিকে মারিয়া আক্তারের বাবা মাসুদ সরদার বলেন, আমি আমার মেয়েকে নুর ইসলামের সঙ্গে বিয়ে দিয়েছি। কয়েক শ মানুষ উপস্থিত ছিলেন সেই বিয়েতে। আমার মানসম্মান সব শেষ। আমি এই প্রতারকের বিচার চাই।

মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম মিঞা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা নুর ইসলামকে তথ্য-পরিচয় গোপন রেখে বিয়ে করার জন্য আটক করেছি। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নাজমুল মোড়ল/এনএ