একরামুলের খামারে দেশি-বিদেশি কবুতর পালন করা হচ্ছে

পশু-পাখির প্রতি তীব্র ভালোবাসা থেকে সমন্বিতভাবে দেশি মুরগি, কবুতর ও ছাগল পালন করছেন একরামুল হাসান নামে এক ব্যক্তি। এতে তার প্রতি মাসে আয় হচ্ছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। 

একরামুল হাসান কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের মিলের পাড় গ্রামের বাসিন্দা। তার সমন্বিত খামারে দেশি মুরগি ৫০টি, ছাগল ৮টি, গরু ২টি, দেশি কবুতর ১৫ জোড়া, বিদেশি জাতের কবুতর কাগজী, সিরাজী ১০ জোড়া, লক্ষ্যা ১৫ জোড়া ও কিছু লেয়ার মুরগি রয়েছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, একরামুল হাসান ছোটবেলা থেকেই শখের বসে বিভিন্ন পশুপাখি পালন করে আসছিলেন। বাণিজ্যিকভাবে পশুপাখি পালন করা যায় কিনা- সেই চিন্তা থেকেই সমন্বিত খামার শুরু করেন। তার খামারে দেশি মুরগি, ছাগল, দেশি-বিদেশি কবুতর ও লেয়ার মুরগি রয়েছে। কর্মসংস্থান হয়েছে দুইজন মানুষের। এ খামার থেকে প্রতি মাসে ব্যয় বাদ দিয়ে তার ৩০-৪০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। 

একরামুলের খামারের ছাগল

স্থানীয় আব্দুল মতিন জানান, একরামুল ভাই এমন কোনো পশু-পাখি নেই যে পালন করেননি। দীর্ঘদিন থেকে দেশি মুরগি, ছাগল, গরু, দেশি-বিদেশি কবুতর কবুতর পালন করে লাভবান হচ্ছেন। আমি নিজেও ব্যবসায়ী। আমার চিন্তা ভাবনা আছে এ রকম একটি খামার করার।

একরামুল হাসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, যদি কারও পশু-পাখির প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে যে কেউ খামার করতে  পারেন। পশু-পাখির ওপর ভালোবাসা থেকে আমার এ সফলতা। আমার এক ছেলে ও মেয়ে রয়েছে। খামারের আয় দিয়ে ছেলেকে ঢাকার রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়াইছি।

তিনি আরও বলেন, আমার খামারে দুইজন মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। তাছাড়া যদি সরকারিভাবে অথবা প্রাণিসম্পদ বিভাগ থেকে সহযোগিতা করা হতো তাহলে আমি আরও বড় পরিসরে খামারটি করতে পারতাম।

কুড়িগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল হাই সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সমন্বিতভাবে খামার লাভজনক। ওই খামারি আমার অফিসে এলে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

এসপি