জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপুর সামনে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে দুই পক্ষ। এ ঘটনায় তিনজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টার দিকে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার খানপুরা জাতীয় পার্টির উপজেলা কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, রোববার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের জন্মদিন পালন উপলক্ষে উপজেলা জাতীয় পার্টির উদ্যোগে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ওই আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু। আলোচনা সভায় সংসদ সদস্যের পাশের চেয়ারে বসা নিয়ে রহমতপুর ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সম্পাদক হামিদুর রহমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডার সূত্র ধরে উপজেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক সোহেল হাওলাদার তাকে ‘তুই’ বলে সম্মোধন করেন। এ নিয়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। প্রথম দফায় সংসদ সদস্যের সামনেই অন্যান্য নেতাদের হস্তক্ষেপে তা মিমাংসা করা হয়। তবে আলোচনা সভা শেষে নেতাকর্মীদের জন্য রান্নার খোঁজ নেওয়ার সময় পুনরায় হামিদুর রহমান ও সোহলে হাওলাদারের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এ সময়ে সোহেল হাওলাদারসহ তিনজনকে মারধর করে হামিদুর রহমানের লোকজন।

বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন বলেন, খবর পেয়ে বিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাসহ আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। বড় কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে বলে শুনেছি। কিছু চেয়ার ভেঙেছে। তবে সংসদ সদস্য নিরাপদে ছিলেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। বর্তমানে ওই এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ঘটনায় আহত চাঁদপাশা ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মামুন হোসেন খলিফা বলেন, আমার ওপরেও হামলা হয়েছে। আমি বর্তমানে বরিশালের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছি। আমি অপারেশন টেবিলে থাকায় বিস্তারিত বলতে পারছি না।

বরিশাল-৩ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম কিবরিয়া টিপু স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, মারামারির ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। দলের কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

তবে ঢাকা পোস্টের পক্ষ থেকে উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক মুকিতুর রহমান কিসলুর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরকে