গাজীপুর মহানগর বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভায় হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জেলা বিএপির দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে সভা চলাকালে বিএনপির পদবঞ্চিত একটি পক্ষের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করে কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। 

এ সময় হামলাকারীরা সভাস্থলের ব্যানার ছিঁড়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে। সভার লোকজন হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হন। পরে পুলিশ গিয়ে লাঠিপেটা করে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে রাজু নামে এক ছাত্রদল কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

গাজীপুর মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শওকত হোসেন সরকার বলেন, কেন্দ্রঘোষিত ৪ মার্চের পদযাত্রা কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে মহানগর বিএনপির যৌথ প্রস্তুতি সভা চলছিল। বিএনপির প্রবীণ নেতা মীর হালিমুজ্জামান ননীর সভাপতিত্বে ও অ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান এলিচের সঞ্চালনায় এতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা ডা. মাজহারুল আলম, মহানগর বিএনপি নেতা আহমদ আলী রুশদি, হাসন আজমল ভূঁইয়া, মো. সুরুজ আহমেদ, আ ক ম মোফাজ্জল হোসেন, সাইফুল ইসলাম টুটুল, আসাদুজ্জামান নুর, বাবুল হোসেন, মো. কামাল, মিরনসহ বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। 

সভায় বক্তব্য চলাকালে কিছু লোক রামদা, চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল ও লাঠিসোটা নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে তারা সভাস্থলের ব্যানার ফেস্টুন ছিঁড়ে চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে। এ সময় নেতাকর্মীরা হামলাকারীদের প্রতিহত করতে গেলে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে অন্তত ১০ জন কর্মী আহত হন। পরে পুলিশের বাধায় সভা সমাপ্ত না করেই আমরা সভাস্থল ত্যাগ করি।

গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল ইসলাম জানান, বিএনপির দুই গ্রুপে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করা হয়। 

শিহাব খান/আরএআর