কক্সবাজারের উখিয়ায় ৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে চার শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়েছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ১০টি ইউনিট। পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও উখিয়া থানা পুলিশ আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে। তবে এখনও হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

রোববার (৫ মার্চ) বিকেল ৩টার দিকে উখিয়ার পালংখালী ময়নার ঘোনায় ৯, ১০ ও ১১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, অগ্নিকাণ্ডে ৩টি ক্যাম্পের প্রায় সব ঘর পুড়ে গেছে। এ সংখ্যা চার শতাধিক। 

আরো পড়ুন >> রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দিয়েছে সেনাবাহিনীও

উখিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের ইনচার্জ এমদাদুল হক জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আগুন এখনো নেভেনি। আগুন নিয়ন্ত্রণে প্রথমে আমাদের তিনটি ইউনিট কাজ শুরু করে। পরে ক্রমান্বয়ে তা বাড়তে থাকে। এই মুহূর্তে কক্সবাজার জেলার ফায়ার সার্ভিসের সব ইউনিট কাজ করছে, পাশাপাশি চট্টগ্রাম থেকেও ইউনিট আনা হচ্ছে। 

ঘটনাস্থলে থাকা ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগুনের তীব্রতা কিছুটা কমে এসেছে। তবে প্রচণ্ড ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে গেছে ক্যাম্পের আশপাশ। এ কারণে কাজ করতে বেগ পাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রাখা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের তথ্যমতে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এর আগে সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে ২০২১ সালের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালী এলাকার তিনটি (ক্যাম্প-৮, ৯ ও ১১) আশ্রয় শিবিরে। ভয়াবহ ওই অগ্নিকাণ্ডে ১০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে ছাই হয়েছিল। গৃহহীন হয়েছিল ৪৫ হাজার রোহিঙ্গা। অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা যায় ৬ শিশুসহ ১৫ জন রোহিঙ্গা। ওই আগুনের সূত্রপাত কোথা থেকে, এখনো তা জানা যায়নি।

বর্তমানে উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা সাড়ে ১২ লাখ। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা ৮ লাখ। আগে থেকে ছিল ৪ লাখ রোহিঙ্গা।

সাইদুল ফরহাদ/জেডএস