চাঁপাইনবাবগঞ্জে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঠিকাদারের ম্যানেজারের কাছ থেকে বাঁধ নির্মাণ কাজের শ্রমিকদের মজুরির টাকা ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে ছিনতাইকারীরা। মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজায়গীর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় আহত ম্যানেজার আব্দুল মমিন শাহিন আলীকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি শিবগঞ্জ উপজেলার নয়ালাভাঙ্গা ইউনিয়নের চর ঘোড়াপাখিয়া গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। 

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আব্দুল মমিন শাহিন আলী বলেন, গত ৩ মার্চ থেকে সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের নবাবজায়গীর এলাকায় ৮ নম্বর নদী রক্ষা বাঁধে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে ৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের কাজ শুরু হয়েছে। এরপর থেকেই বড় মরাপাগলা গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নয়ন আলী (২৫) ঠিকাদারের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা চাঁদা নিয়ে দেওয়ার জন্য আমাকে চাপ দিয়ে আসছিল। আজকে (মঙ্গলবার) বাঁধের শ্রমিকদের মজুরি দেওয়ার জন্য আমার কাছে ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা ছিল। এমন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নয়ন ১০-১২ জনকে সঙ্গে নিয়ে এসে বাঁধ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় আমাকে লোহার রড দিয়ে মাথা ও শরীরে বিভিন্ন স্থানে পিটিয়ে গুরুতর আহত করলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। পরে তারা আমার ব্যাগে থাকা ৪ লাখ ৭০ হাজার টাকাসহ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা অবস্থায় আমাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে কথা বলতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নয়ন আলীর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, এ নিয়ে থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 জাহাঙ্গীর আলম/আরএআর