গভীর রাতে বাসায় ঢুকে তল্লাশির নামে স্বর্ণের গয়না চুরির অভিযোগ এনে সাভার থানা পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন জরিনা (২৮) নামের এক গৃহবধূ। 

শুক্রবার (১০ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে অভিযোগের কপি ঢাকা পোস্টের হাতে আসে। এর আগে ৯ মার্চ পুলিশ হেডকোয়ার্টারের আইজিপি'স মনিটরিং সেলে এই অভিযোগ দায়ের করেন ওই নারী।

অভিযুক্তরা হলেন- সাভারের আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ফারুক, এএসআই মাহাতাব ও আমিনবাজারের বড়দেশী পশ্চিমপাড়া গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে অন্তুসহ (৩০) অজ্ঞাত আরও ৩ থেকে ৪ জন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা গত ৮ মার্চ রাত সাড়ে ১১টার দিকে আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের দিপ্তীরটেক এলাকার আশা হোটেলের পেছনে জাহিদের বাড়ির নিচ তলার ভাড়া বাসায় জোরপূর্বক প্রবেশ করেন। পরে ভুক্তভোগীকে ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে বের করে তল্লাশি করা শুরু করেন তারা। এ সময় বাসার আলমারি, ওয়্যারড্রব ও বিছানার নিছে অজ্ঞাত কিছু অনুসন্ধান করেন। তাদের কাছে অনুসন্ধানের কারণ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ করেন। এ সময় ভুক্তভোগীর স্বামী বাড়িতে না থাকায় বাড়ির মালিক এসে তল্লাশির কারণ জানতে চাইলে তাকেও গালিগালাজ শুরু করেন। প্রায় আধাঘণ্টা তল্লাশির পরে তারা চলে গেলে ভুক্তভোগী জরিনা ঘরে প্রবেশ করে দেখেন তার আলমারিতে রাখা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন নেই।

ভুক্তভোগী নারী জরিনা বেগম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্বামী বিল্লাল হোসেন শারিরীক প্রতিবন্ধী মানুষ। তিনি চায়ের দোকান করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আমাদের আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে বিরোধ চলে আসছিল। তারা নারী নির্যাতনের মামলা দিয়েছিল। সেই মামলায় আমার স্বামী জামিনে রয়েছে। কিন্তু আমার স্বামী বাসায় না থাকা অবস্থায় তারা ঘরে প্রবেশ করে তল্লাশি করে স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়।

অভিযুক্ত আমিনবাজার ফাঁড়ির সহকারি উপ-পরিদর্শক মাহতাব বলেন, শুধু আমাকেই ফোন দিচ্ছেন কেন? ফারুকরে ফোন দিয়েছিলেন। আমি পরে ফোন দিচ্ছি। এক কথা বলেই মোবাইলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন তিনি।

এ ব্যাপারে সাভারের আমিন বাজার ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন-অর-রশিদ বলেন, গত কয়েকদিন আগে ওই নারীর স্বামীকে গ্রেপ্তার করে মানিকগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে এএসআই ফারুক। আমার মনে হয় ওই ক্ষোভ থেকে এই অভিযোগ করেছে তারা। ওই নারীর স্বামীর বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে যায় এএসআই ফারুক ও মাহতাব। এটা মিথ্যে অভিযোগ। তবে অভিযোগ যেহেতু হয়েছে অবশ্যই তদন্ত হবে।

সাভার মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহাকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

মাহিদুল মাহিদ/আরকে