জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে নিখোঁজের দুই দিন পর ফেরদৌস মিয়া (৪০) নামের এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সাবেক স্ত্রীকে আটক করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) বিকেলে দেওয়ানগঞ্জ সদর ইউনিয়নের গামারিয়া গ্রামের একটি ভুট্টার খেত থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ফেরদৌস মিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের গামারিয়া গ্রামের আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রোববার (১২ মার্চ) রাতে ফেরদৌস নিখোঁজ হন। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে থানায় জিডি করে তার পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে গামারিয়া গ্রামের মারুফ নামের একজন ভুট্টাখেতে আংশিক পুঁতে রাখা একটি মরদেহ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহতের প্রথম স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, তার স্বামী তাকে ছাড়াও মিষ্টি আক্তার নামে এক মেয়েকে বিয়ে করেছিল। কিছুদিন আগে মিষ্টিকে তালাক দিয়েছেন। তালাক দেওয়ায় প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মিষ্টি ও তার পরিবারের লোকজন ফেরদৌস মিয়াকে হত্যা করেছে বলে দাবি করেন নাজমা বেগম।

এ বিষয়ে দেওয়ানগঞ্জ মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল চন্দ্র ধর বলেন, মঙ্গলবার বিকেলে ফেরদৌস মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্যে মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের সাবেক দ্বিতীয় স্ত্রী মিষ্টি আক্তারকে আটক করা হয়েছে।

এমজেইউ