জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মদিন উপলক্ষ্যে জয়পুরহাটে এক ব্যতিক্রমী রাজনৈতিক ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই রাজনৈতিক ক্যাম্পে কালাই, ক্ষেতলাল ও আক্কেলপুর এই তিন উপজেলার আওয়ামী লীগের প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) কালাই সরকারি ময়েন উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ময়দানে রাজনৈতিক ক্যাম্পের সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুর রহমান রকেট। তৃণমূলের সিনিয়র আওয়ামী লীগ সদস্য, জেলা ও উপজেলা নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, জীবন ও কর্মের ওপর আলোচনা করেন।

বেলা এগারটায় জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বেলুন ওড়ানো ও পায়রা অবমুক্তকরণের মাধ্যমে ক্যাম্পের উদ্বোধন করা হয়। এরপর জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দুপুরে রাজনৈতিক ক্যাম্পে জামাতের সঙ্গে জুম্মার নামাজ আদায় করা হয়। 

অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি, কর্ম, জীবন ও আদর্শের ওপর আলোচনা করেন জাতীয় সংসদের হুইপ আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু সুন্দর, সমৃদ্ধ ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান সৃষ্টির পর থেকেই এদেশের জনগণকে সংগঠিত করার যাত্রা শুরু করেন। তিনি গোপনে স্বাধীনতার লক্ষ্যে পরিকল্পিতভাবে এদেশের ছাত্রসমাজকে সংগঠিত করার মহৎ কর্মে আত্মনিয়োগ করেন।

তিনি বলেন, পাকিস্তানের শোষণ, নিষ্পেষণ, অবহেলা, বঞ্চনা ও বাঙালিকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকের পরিণত করার বিরুদ্ধে বাংলার জনগণকে সচেতন করে তুলে সংগঠিত করেন। তিনি পরিকল্পিতভাবে বাঙালিকে স্বাধীনতার স্বপ্নে দীক্ষিত করে তোলেন। তার ঐতিহাসিক নেতৃত্বে বাংলার দামাল ছেলেরা দেশ মাতৃকার মুক্তির জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন ও স্বাধীনতার লাল সূর্য ছিনিয়ে আনেন।  

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা বঙ্গবন্ধুকেই নিষিদ্ধ করে রেখেছিল। মৃত বঙ্গবন্ধুকে নানাভাবে অপমান করার হীন প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বঙ্গবন্ধুকে নির্দিষ্ট মর্যাদায় অধিষ্ঠিত করেছে। জাতিসংঘের ইউনেস্কো তার ঐতিহাসিক ভাষণকে বিশ্ব ঐতিহ্যের মর্যাদা দিয়েছে। বঙ্গবন্ধু আজ দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়েছেন। আমাদের বঙ্গবন্ধু আজ বিশ্ব সম্পদে উন্নীত হয়েছেন।

এই রাজনৈতিক ক্যাম্পে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মোমিন আহমেদ চৌধুরী, মোকছেদ আলী মাস্টার, জাকির হোসেন, আব্দুস সালাম আকন্দ, মোস্তাকিম মন্ডল, মিনফুজুর রহমান মিলন, অধ্যক্ষ মোকছেদ আলী, সিরাজুল ইসলাম সর্দার, ফজলুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনিশ চৌধুরী, আলম চৌধুরী ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নবিবুর রহমানসহ তৃণমূলের নেতাকর্মীরা।

চম্পক কুমার/কেএ