পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চর গঙ্গামতিতে রাতের আঁধারে বেলাল শরীফ নামে এক কৃষকের প্রায় ১ হাজার ৫০০ তরমুজ নষ্ট করেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর থেকে এলাকার অন্যান্য কৃষকদের মাঝে আতঙ্ক কাজ করছে।

জানা যায়, ধারদেনা করে ২ একর ৬৬ শতাংশ জমিতে তরমুজ চাষ করেন কৃষক বেলাল শরীফ। তরমুজের ফলনও হয়েছে বেশ ভালো। শনিবার (১৮ মার্চ) সকালে তরমুজ বাজারে নেওয়ার উদ্দেশ্যে কাটতে গেলে দেখেন প্রতিটি তরমুজে ছিদ্র করা। এ অবস্থা দেখে জমির মধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃষক বেলাল শরীফ।

বেলাল শরীফ বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে তরমুজ চাষ করছি। এই গ্রামে কারো সঙ্গে আমার কোনো শত্রুতা নেই। তবে আমার ভাই দুলাল শরীফ এই জমি নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমার ধারণা আমার ভাই তার ছেলেদের নিয়ে রাতের আঁধারে এই কাজ করেছে। আমার লক্ষাধিক টাকা দেনা। এখন কী করবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই।

স্থানীয় মোস্তফা হাওলাদার বলেন, ধারদেনা করে অনেক কষ্টে বেলাল শরীফ তরমুজ চাষ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে। কে বা কারা রাতের আঁধারে প্রতিটি তরমুজে ছিদ্র করে রেখে গেছে। যদি এমন হয় তাহলে কৃষক কাজ করার আগ্রহ হারাবে।

প্রতিবেশী ইউনুস শরীফ বলেন, এখানে যে ক্ষতি হয়েছে তাতে আজ থেকে তরমুজ খেতে পাহারা দিতে হবে। আমারও খুব ভয় লাগছে। অনেক কষ্ট করে ধারদেনার মাধ্যমে তরমুজ চাষ করেছি।

বেলাল শরীফের ছেলে আল-আমিন বলেন, ৩ থেকে ৪ মাস ধরে প্রতিদিন ৫ শ থেকে ৬ শ কলস পানি দিয়ে এই তরমুজের ফলন পেয়েছি। আজ সব শেষ হয়ে গেল। আমরা মানুষের কাছে অনেক টাকা ধার করেছি। দেনা পরিশোধ করতে না পারলে খুব সমস্যায় পড়ে যাব।

স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মো. নয়া বলেন, এলাকার চাষিরা খুব কষ্ট করে এসব চাষ করে। যারা এসব ক্ষতি করে তাদের উপযুক্ত শাস্তি হওয়া উচিত।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এআরএম সাইফুল্লাহ বলেন, এ বিষয়ে আমি অবগত ছিলাম না। আপনার কাছে শুনলাম। আমাদের অফিসারদের পাঠাচ্ছি। এরপর যে ধরনের সহযোগিতা করা যায় আমরা করবো।

এমজেইউ