র‍্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সহকারী পরিচালক মেজর মো. মশিউর রহমান বলেছেন, আমরা খবর পেয়ে নোয়াখালী এসেছি। এখানে কোনো নাশকতামূলক কিছু ঘটেছে কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখেছি। আমরা এমন কিছুই পাইনি। প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি ব্যাগে থাকা বডি স্প্রে থেকে মডেল মসজিদে বিস্ফোরণ হয়।

বুধবার (২৩ মার্চ) রাতে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে মডেল মসজিদ বিস্ফোরণস্থল পরিদর্শন শেষে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা জানান।

মশিউর রহমান বলেন, বোম ডিসপোজাল টিম, ফরেনসিক টিম ও গোয়েন্দা টিম একযোগে কাজ করছে। এক্সপ্লোসিভ ডিটেকশনের জন্য অত্যাধুনিক এক্সপ্রোসিভ পোর্টেবল ট্রেস এবং ভ্যাপার ট্রেসের জন্য ভ্যাপার ডিটেকশন আমরা ব্যবহার করেছি। আমাদের কাছে অত্যাধুনিক ফিঙ্গার প্রিন্ট ক্যাপচারিং এবং স্ক্যানিং সিস্টেম রয়েছে। আমরা আলামতগুলো দেখছি কোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড চালালে আমরা ধরতে পারব। আপাতত দৃষ্টিতে এমন কোনো কিছুই আমরা পাইনি।

মশিউর রহমান আরও বলেন,  প্রাথমিকভাবে আমরা ধারণা করছি এখানে স্বল্প পরিসরে ছোট একটা বিস্ফোরণ হয়েছে। তবে সেটা বডি স্প্রে থেকে হয়েছে বলে ধারণা করছি। ব্যাগের মধ্যে বডি স্প্রে ছিল। সেখান থেকে এমন বিস্ফোরণ হয়েছে।

জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১১টার দিকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলা মডেল মসজিদের দ্বিতীয় তলায় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে মসজিদের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষের দুটি দরজা, দুটি জানালা, মেঝে ও সিলিংয়ের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে বিস্ফোরণে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

বিস্ফোরণের খবর পেয়ে গতকাল সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. শহীদুল ইসলামসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা। এরপর সেখানে যান পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

হাসিব আল আমিন/এসকেডি