চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার তিতুদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শুকুর আলীর বিরুদ্ধে টিসিবির পণ্য চাওয়ায় খেদের আলী (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে জুতাপেটা করার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বুধবার (২২ মার্চ) খেদের আলীর ছেলে সুজন আলী বাদী হয়ে তিতুদহ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২১ মার্চ) তিতুদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে টিসিবির মালামাল বিক্রি করা হচ্ছিল। এ সময় খেদের আলীর টিসিবির কার্ড না থাকায় চেয়ারম্যান শুকুর আলীর নিকট গিয়ে তেল কিনতে চান। এতে চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে খেদের আলীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে নিজের পায়ের জুতা খুলে তাকে মারধর করেন।

এ বিষয়ে বৃদ্ধ খেদের আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, গত ইউপি নির্বাচনের সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান টিপুর পক্ষে কাজ করায় তখন থেকেই চেয়ারম্যান শুকুর আলী আমার ওপর ক্ষিপ্ত। আমার কোনো টিসিবির কার্ড ছিল না। আমি ওইদিন (মঙ্গলবার) সকালে স্কুলের মাঠে চেয়ারম্যানের নিকট গিয়ে টিসিবির তেল কেনার কথা বলতেই আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। একপর্যায়ে জনসম্মুখে নিজের জুতা খুলে আমাকে মারধর করে আহত করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের তথ্যমতে, গত মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বৃদ্ধ খেদের আলী মারধরের কারণে জরুরি বিভাগ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে এ বিষয়ে জানতে দায়িত্বরত চিকিৎসক মোস্তাফিজুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত চেয়ারম্যান শুকুর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, বৃদ্ধ খেদের আলী কার্ড বাদে টিসিবির পণ্য নিতে আসায় আমি অসম্মতি জানাই। এ নিয়ে আমার সঙ্গে তার তর্কবিতর্ক হয়। বৃদ্ধ আমাকে গালিগালাজ শুরু করলে তাকে ‘জুতা দিয়ে মারার দরকার’ বলেছি কিন্তু তাকে মারধর করিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষরা আমার আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এই মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে। তা না হলে কার্ড ছাড়া তিনি (খেদের আলী) মালামাল নিতে যাবে কেন?

থানায় অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান শুকুর আলী বলেন, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার জন্য আমিও থানায় অভিযোগ দিয়েছি।

দর্শনা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএইচএম লুৎফুল কবীর ঢাকা পোস্টকে বলেন, এ ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করা দেখা হচ্ছে।

আফজালুল হক/এমজেইউ