গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, এত আত্মত্যাগ, এত রক্তের উপর দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের স্বাধীনতা, আমাদের রাষ্ট্র। এই রাষ্ট্রে ৫২ বছর পরে এসে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সেটিকে আবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বলে জায়েজ করা হয়, উন্নয়ন দিয়ে জায়েজ করা হয়। অথচ সাধারণ মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস, তাদের জীবনে মুক্তি আসেনি।

রোববার (২৬ মার্চ) মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে বীর শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, শ্রমজীবীরা আগে যে মানের জীবনযাপন করতেন বর্তমানে তাদেরকে সেই রকম জীবনযাপন করতে আরও বেশি শ্রম দিতে হচ্ছে। এর মূল কারণ হচ্ছে আমাদের এখানে যে শাসনব্যবস্থা তৈরি হয়েছে তা গঠনগত দিক দিয়ে ও সাংবিধানিকভাবে স্বৈরাচারী। একে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সরকার একটি ফ্যাসিবাদী শাসনে পরিণত করেছে। আমরা মনে করি বাংলাদেশের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত যে স্বপ্ন, আকাঙ্ক্ষা তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এই শাসনব্যবস্থা বদলাতে হবে। একে গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতাপূর্ণ করতে হবে। এর মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষ, শ্রমিক, কৃষক যারা মুক্তিযুদ্ধের প্রধান শক্তি ছিলেন, রাষ্ট্রে তাদের যে ন্যায্য হিস্যা সেটা প্রতিষ্ঠা করতে হবে। আর এই ক্ষেত্রে ভোটাধিকার হচ্ছে তার প্রথম সংগ্রাম। ভোটাধিকার না থাকলে অন্য কোনো গণতান্ত্রিক অধিকারই থাকতে পারে না। ফলে কোনো অবস্থাতেই ভোটাধিকার হরণ করাকে জায়েজ করা যায় না। এর চাইতে দুঃখজনক ও লজ্জাজনক বিষয় আর কিছু থাকতে পারে না।

নির্বাচনের বিষয়ে তিনি বলেন, কোনো প্রস্তুতি ছাড়া নির্বাচনে গেলে বিরোধী দল বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। আমরা তো কালকেই নির্বাচনে অংশ নিতে চাই। কিন্তু নির্বাচন তো নির্বাচনের মতো হতে হবে। এটা যদি ২০১৪ বা ১৮ সালের মতো হয়, ভোট ডাকাতি হয় তাহলে সেটাতো কোনো নির্বাচন হলো না। ফলে নির্বাচন আয়োজনের যে পরিবেশ সেটা আমরা দাবি করছি। দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় সেই কথাটা আমরা বলছি।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য মনির উদ্দিন পাপ্পু, জুলহাস নাইম বাবু, ঢাকা জেলা কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী বাচ্চু মিয়া, আশুলিয়ার প্রধান সমন্বয়কারী এফ এম নুরুল ইসলাম, নির্বাহী সমন্বয়কারী রোকনুজ্জামান মনি প্রমুখ।

মাহিদুল মাহিদ/এমজেইউ