রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালে কর্মচারীর সঙ্গে বাগবিতণ্ডার জের ধরে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন ইন্টার্ন চিকিৎসকরা। শুক্রবার (২৫ ডিসেম্বর) সকাল থেকে হাসপাতালে ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বেশির ভাগ ইন্টার্ন চিকিৎসক কর্মবিরতিতে রয়েছেন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা।

চিকিৎসক জনবল ও ওষুধপথ্যের স্বল্পতা এবং মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা তো কার্ডিওলজি বিভাগে মিলছেই না। তার মধ্যে এখন ধর্মঘট চলছে। কষ্ট তো আমাদের অসহায় মানুষদের

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কার্ডিওলজি বিভাগে ছুটির কাগজপত্র নিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক নারী কর্মচারীর সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকের কথা-কাটাকাটি হয়। এরই জেরে ধর্মঘটের ডাক দেন ক্ষুব্ধ ইন্টার্নরা।

কথাকাটাকাটির জেরে ডাকা এই ধর্মঘটে দুর্ভোগ বাড়িয়েছে রোগীদের। একদিকে করোনা, অন্যদিকে শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব, এ সময় এ ধরনের ধর্মঘট ডাকা ঠিক হয়নি বলে মনে করছেন রোগীদের সঙ্গে আসা স্বজনরা।

কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি মাজেদ মিয়ার স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, চিকিৎসক জনবল ও ওষুধপথ্যের স্বল্পতা এবং মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত চিকিৎসা তো এই বিভাগে মিলছেই না। তার মধ্যে এখন ধর্মঘট চলছে। কষ্ট তো আমাদের অসহায় মানুষদের।

এদিকে ধর্মঘটের বিষয়ে ইন্টার্ন চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি সানাহুল হুদা রিয়াদ ঢাকাপোস্টকে বলেন, আমরা ধর্মঘট দিতে চাইনি। বাধ্য হয়ে আমাদের সবাই কর্মবিরতি পালন করছে। আমাদের ইন্টার্ন চিকিৎসকদের যেভাবে চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে, এ নিয়ে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ঘটনার সমাধান না করা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।

এ ব্যাপারে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের এক কর্মচারীর সঙ্গে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে ধর্মঘটের ডাক দেন চিকিৎসকেরা।

এনএ