আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, স্বাধীনতা দিবসকে কটাক্ষ করে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। এটি রাষ্ট্র ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, চরম অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড। যারা এই কাজের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করাটা যৌক্তিক। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরে যদি কারো মনে আঘাত লাগে, তাহলে বুঝতে হবে তারাও অংশীদার, এজন্য তাদের মনে আঘাত লেগেছে, কষ্ট লেগেছে। আমরা সব সময় স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস করি। 

শুক্রবার (৩১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের অডিটোরিয়ামে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ট্যাব বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ আরও বলেন, ২৬ মার্চ যে সংবাদটি পরিবেশন হয়েছিল সেটি ষড়যন্ত্র ছিল, মিথ্যা ছিল, সেটি প্রথম আলো সংবাদটি সরিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে প্রমাণ করেছে। তারা যদি মনে করে সংবাদটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যায়নি, তাহলে তারা কেন সরিয়ে নিয়েছে। তারা সরিয়ে নিলে কী হবে, ততক্ষণে সেটা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে, যেটা প্রচার হওয়ার সেটা প্রচার হয়ে গেছে। এটি ষড়যন্ত্রমূলকভাবে করা হয়েছে। ওই বাচ্চাটি ওইভাবে উদ্ধৃতি করেনি, বাচ্চাটিকে ১০ টাকা দিয়ে করানো হয়েছে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়েছে সাংবাদিকদের। সংবাদ মাধ্যমের বিশাল বিস্তৃতি ঘটানো হয়েছে। আগে একটি টেলিভিশন ছিল এখন ৪২টি টেলিভিশন ও শতাধিক দৈনিক পত্রিকা দেওয়া হয়েছে। সাংবাদিকরা যেভাবে খুশি লিখছে, প্রতিদিন টিভিতে টকশো হচ্ছে, সেখানে সরকারের সমালোচনা করছে। তাদের তো কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কিন্তু আমাদের স্বাধীনতার জায়গাটায় যদি আঘাত আসে, তাহলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের দায়িত্ব।

হানিফ বলেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। ৩০ লাখ শহীদের রক্ত এবং দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের  বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীন এই বাংলাদেশ। এই স্বাধীনতা দিবসে পত্রিকায় খবর ছাপবে আমাদের ইতিহাস নিয়ে, যাতে আমাদের নতুন প্রজন্ম ও ভবিষ্যৎ প্রজন্ম স্বাধীনতার প্রকৃত ইতিহাস জানতে পারে। স্বাধীনতার সঙ্গে আমাদের আবেগ অনুভূতি জড়িত।

কুষ্টিয়া সদর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা পরিসংখ্যান অফিসের আয়োজনে অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন স্কুলের নবম ও দশম শ্রেণিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী ৩৩৬ জন শিক্ষার্থীর মাঝে ট্যাব বিতরণ করা হয়। এ সময় কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাধন কুমার বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

রাজু আহমেদ/আরএআর