হামলায় গুরুতর আহত মামুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন

পচা সবজি দেওয়াকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের রক্ষীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে কারাগারের সহকারী প্রধান রক্ষী মামুন হোসেনসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায়  তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আটকরা হলেন-সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব, তার ছেলে রনি এবং জয়নাল।

কুষ্টিয়ার জেল সুপার তায়েফ উদ্দিন মিয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, জেলা কারাগারের সামনে ইয়াকুব নামে এক বিক্রেতার সঙ্গে কারাগারের সহকারী প্রধান রক্ষী মামুন হোসেনের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সবজি বিক্রেতা তার ছেলে রনি ও স্থানীয় প্রায় ৩০ জনকে সঙ্গে করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মামুনের ওপর হামলা করে। এতে মামুন গুরুতর আহত হয়। এ সময় আরও ৯-১০ জন আহত হন।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) তাপস কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত মামুন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। 

পুলিশ, কারাগার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পচা সবজি দেওয়াকে কেন্দ্র করে রাত সাড়ে ৭টার দিকে কারাগারের সামনের স্থানীয় এক সবজি বিক্রেতার সঙ্গে কারারক্ষী মামুনের কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিষয়টিকে কেন্দ্র করে ওই সবজি বিক্রেতা স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে মামুনকে মারপিট করে। পরে অন্যান্য কারারক্ষী প্রতিবাদ করলে তারা কারাগারের ভেতরে গিয়ে প্রায় ১০-১২ জনের ওপর হামলা ও মারপিট করে। 

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কারা ঘণ্টা বাজিয়ে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের সকল কারারক্ষী একত্রিত হয়ে বহিরাগতদের ধাওয়া করে। এতে হামলাকারীরা কারাগারের প্রধান ফটকের অভ্যন্তর থেকে বেরিয়ে গেটের সামনে রাস্তার উপর অবস্থান নেয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ আসে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এ সময় তিন হামলাকারীকে আটক করে পুলিশ।

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য কুষ্টিয়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফ-উল-হক মুরাদের মুঠোফোনে  যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। 

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শওকত কবির বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কয়েজন কারারক্ষী আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজন হামলাকারীকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

রাজু আহমেদ/এসপি