রংপুরে সালাম না দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সজীব নামের এক শিক্ষার্থীকে ক্রিকেট খেলার স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে গুরুতর আহত ওই শিক্ষার্থীর পা ভেঙে গেছে। বর্তমানে তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে ওই শিক্ষার্থীকে রিহান ও স্বপন নামে স্থানীয় দুইজন বখাটে মারধর করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে রাতে প্রেসক্লাব চত্বরে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারসহ শাস্তির দাবি জানিয়েছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

সড়ক অবরোধে অংশ নেওয়া রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী সোহেল জানান, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ক্যাম্পাসে ভেতরে সালাম না দেওয়াকে কেন্দ্র করে নগরীর পার্শ্ববর্তী জুম্মাপাড়া এলাকার রিহান নামে এক বখাটে ইলেক্ট্রো মেডিকেল টেকনোলজি বিভাগের সপ্তম সেমিস্টারের ছাত্র সজীবকে স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে তার পা ভেঙে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর আগেও বখাটে রিহান বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থীকে মারধর করেছে। আমরা প্রশাসনকে বলেছি, কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বাহির থেকে এখানে পড়তে এসেছি, মার খেতে নয়। আমরা চাই অরক্ষিত ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। বহিরাগতদের উৎপাত বন্ধ করাসহ নির্যাতন ও টোকাইদের তৎপরতা ঠেকাতে প্রশাসন নজরদারি করুক। এখন প্রশাসন কঠোর না হলে ক্যাম্পাসের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট হওয়ার সঙ্গে পড়াশোনারও ব্যাঘাত ঘটবে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা জানান, মারধরের ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে ইনস্টিটিউটের ভেতরে মেসে থাকা শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে অভিযুক্তের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করলে তারা প্রেসক্লাবের সামনে এসে  অবস্থান নেয়।

এদিকে প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে চলা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধে নগরীতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতিতে শান্ত করে।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেন। এ সময় পুলিশ অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দেয়।

এ বিষয়ে মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ রহমান জানান, অভিযুক্তকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ