ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মধ্য শাকপালদিয়া গ্রামের ছিমাইলের খালপাড়ের সড়কটি গত ১৭ দিন ধরে এলাকার প্রভাবশালী একটি মহল বন্ধ করে রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে ওই এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দারা দুর্ভোগে পড়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাকপালদিয়া গ্রামের শুকুর মোল্লার ছেলে ছমির মোল্লা (৪৫) ও কবির মোল্লা (৪২) এবং তাদের লোকজন সড়কের উপর পাটকাঠির পালা দিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন।

এ ব্যাপারে গত ৩০ মার্চ নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর ভুক্তভোগীদের পক্ষে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন শাকপালদিয়া গ্রামের আব্দুর ছত্তার শেখের ছেলে মো. আজিজুল হোসেন।

মো. আজিজুল হোসেন বলেন, এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শত শত মানুষ চলাফেরা করে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এখান দিয়ে যাতায়াত করে। গ্রামের সবাই রাস্তাটি দিয়ে মাঠের যাবতীয় ফসল বাড়িতে আনা-নেওয়াসহ বিভিন্ন হাটবাজারে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়। কিন্তু শাকপালদিয়া গ্রামের ছমির মোল্লা ও তার লোকজন গত ১৮ মার্চ সর্বসাধারণের যাতায়াতের রাস্তাটি জোরপূর্বক পাটখড়ির স্তূপ রেখে বন্ধ করে দেন। এতে স্থানীয়রা চরম ভোগান্তির মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারছে না। জরুরি কোনো কাজে কেউ যেতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নেওয়ারও কোনো ব্যবস্থা নেই। ছমির মোল্লাকে বারবার রাস্তা থেকে পাটকাঠির পালা সরানোর কথা বলা হলেও তিনি কোনো কথা শোনে না। তিনি জোরপূর্বক সরকারি রাস্তা বন্ধ করে রেখেছেন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে সমাধান না হওয়ায় সকলের পরামর্শে সুষ্ঠু সমাধানের জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট আবেদন করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে ছমির মোল্লা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে এলাকার শত শত মানুষ চলাচল করে এটা ঠিক। কিন্তু রাস্তার পাশের কয়েকটি গাছের কারণে রাস্তার উন্নয়ন করা সম্ভব হচ্ছে না। গাছগুলো কেটে না নেওয়ায় আমি রাগ করে রাস্তা বন্ধ করে রেখেছি। রাস্তার উন্নয়নের স্বার্থে তিনি এ কাজ করেছেন বলে দাবি করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোনিয়া হোসেন জিসান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের জন্য ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদারকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মঈনুল হক জানান, রাস্তা বন্ধ করে রাখা সংক্রান্ত একটি  লিখিত অভিযোগ তিনি পেয়েছেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জহির হোসেন/এমজেইউ