মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চু

নাটোরে আওয়ামী লীগের সমাবেশে হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার (৩ এপ্রিল) রাতে টাঙ্গাইল থেকে মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। একই মামলায় রাতে এনএস কলেজের সাবেক জিএস জহির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর নাটোর সদর থানায় তাদের হস্তান্তর করা হয়। পরে আজ মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) সকালে তাদেরকে নাটোর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

নাটোর সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে, রোববার (২ এপ্রিল) দুপুরে নাটোর সদর থানায় মামলাটি দায়ের করেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নিউন হোসেন।

মামলায় জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নাম উল্লেখ এবং আরও ১০০/১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। পরে রোববার বিকেলে শহরের ফৌজদারিপাড়া থেকে জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম বাচ্চুর লাইসেন্স করা পিস্তল জব্দ করে পুলিশ। একই দিনে সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আলম আবুলকে তেবাড়িয়ার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি-জামায়াতের অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র ও নাশকতার বিরুদ্ধে নাটোর পৌর আওয়ামী লীগ শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে শহরের কান্দিভিটুয়া দলীয় কার্যালয় থেকে একটি শান্তি মিছিল বের করে। মিছিলটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপশহর মাঠে যাওয়ার সময় পুলিশ তাদের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে বাধা দেয়। পরে সেখানেই সমাবেশ করার সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মো. শহীদুল ইসলাম বাচ্চু সমাবেশ লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এছাড়া বিএনপির অন্য নেতাকর্মীরা লোহার রড, চাইনিজ কুড়ালসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আওয়ামী লীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন বিপ্লব ও শহর যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সায়েম হোসেন উজ্জ্বল আহত হন। এছাড়া তাদের ছোড়া ইটের আঘাতে অনেক নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়।

তাপস কুমার/এমজেইউ