দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের বালাডাঙ্গার আশ্রয়ণ পাড়ার মসজিদে নামাজ আদায়ের সময় ভোগান্তি পোহাতে হতো মুসল্লিদের। টিনশেডের ওই মসজিদে ফ্যান ও মাইক না থাকায় এতদিন ধরে কষ্ট করে নামাজ আদায় করে আসছেন তারা। অবশেষে তাদের কষ্ট লাঘব হয়েছে। এখন ফ্যানের বাতাসে নামাজ আদায় করেত পারবেন মুসল্লিরা, মাইকের অভাবে আজান শোনা নিয়েও পড়তে হবে না ভোগান্তিতে।   

গত ৩ এপ্রিল জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘মসজিদে নেই ফ্যান-মাইক, নামাজ আদায়ে ভোগান্তিতে আশ্রয়ণের মুসল্লিরা’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। সংবাদ প্রকাশের পর বিষয়টি নজরে আসে চিরিরবন্দর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানুর। তিনি ঢাকা পোস্টের দিনাজপুর প্রতিবেদকের সঙ্গে যোগাযোগ করে কমিটির হাতে মসজিদের জন্য তিনটি ফ্যান ও একটি মাইক তুলে দেন।

জানা যায়, আশ্রয়ণের ঘরে ওঠার পর থেকেই নামাজ আদায়ে ভোগান্তিতে পড়ে সেখানকার বাসিন্দারা। মসজিদ নির্মাণের জন্য কোনো জায়গা ছিল না সেখানে। বছরখানেক আগে আশ্রয়ণের পাশেই এক স্কুল শিক্ষক মসজিদের জন্য জমি দান করেন। এরপর আশ্রয়ণের বাসিন্দাদের অর্থ সহায়তায় একটি টিনশেড মসজিদ নির্মাণ করা হয়। 

মসজিদ কমিটির সভাপতি শাহাজাহান আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমরা খুব কষ্ট করে সবার সহযোগিতায় টিন দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করেছি। আশ্রয়ণ পাড়ার সবাই দিনমজুরি করে সংসার চালায়। কোনোমতে টিন দিয়ে মসজিদটি নির্মাণ করার পর মাইক-ফ্যান কেনার টাকা ছিল না আমাদের হাতে। তাই এতদিন মাইক ও ফ্যান ছাড়াই নামাজ আদায় করেছে মুসল্লিরা। পরে আমাদের ভোগান্তির কথা তুলে ধরা হয় নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে। সেখান থেকে সমস্যাটি আমাদের উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের চোখে পড়ে। তিনি মসজিদের জন্য আমাদের হাতে মাইক ফ্যান তুলে দিয়েছেন। আশ্রায়ণ পাড়ার মুসল্লিরা তাই অনেক খুশি। তারা এখন থেকে মসজিদে শান্তিতে নামাজ আদায় করেত পারবেন।

মসজিদের ইমাম জিয়াউর রহমান বলেন, মসজিদে একটা মাইক জরুরি দরকার ছিল। কারণ মানুষ আজান শুনে নামাজ আদায় করতে আসে। কিন্তু এ মসজিদে দীর্ঘদিন মাইক ও ফ্যান ছিল না। এখন ফ্যান ও মাইকের ব্যবস্থা হয়েছে। মুসল্লিদের নামাজ আদায় করতে আর কোনো সমস্যা হবে না।

চিরিরবন্দর উপজেলার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লায়লা বানু ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টের সংবাদ দেখে জানতে পারি যে আমার উপজেলার আশ্রয়ণের মুসল্লিরা ফ্যান ও মাইকের জন্য এ রমজান মাসেও নামাজ আদায় নিয়ে ভোগান্তিতে আছে। তখন আমি দ্রুত যোগাযোগ করে মাইক ও ফ্যানের ব্যবস্থা করে দেই। আমি তাদের কথা দিয়েছি মসজিটি আরও সুন্দরভাবে নির্মাণ করতে তাদের যা সহযোগিতা লাগবে আমাকে জানালে করে দেব।

ইমরান আলী সোহাগ/আরকে