ফরিদপুরের সেই বাবা-ছেলের পাশে দাঁড়ালেন পুলিশ সুপার
ফরিদপুরের মধুখালীতে ধর্ষণের অভিযোগে অমানুষিক নির্যাতনের শিকার ইয়ামিন মৃধা (৪০) ও তার ছেলের পাশে দাঁড়ালেন জেলা পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। বুধবার (৫ এপ্রিল) দুপুর একটার দিকে মধুখালী পৌরসভার দাওলিয়া পাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে ইয়ামিন মৃধার বাড়িতে যান তিনি। এ সময় ইয়ামিন মৃধা ও তার তিন ছেলে মেয়েও উপস্থিত ছিল।
এ সময় ইয়ামিন মৃধার হাতে নগদ বিশ হাজার টাকা, চাল, ডাল, তেল, লবণসহ ঈদ উপহার তুলে দেন পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান। এরপর উপজেলা সদরে অবস্থিত আলতু খান জুট মিলে ইয়ামিন মৃধার চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন তিনি। এ সময় সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর, মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী, মধুখালী পৌর মেয়র খন্দকার মোরশেদ রহমান, মধুখালী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলামসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
এর আগে, গত শনিবার (১ এপ্রিল) ইয়ামিনের বাড়িতে যান জেলা প্রশাসক কামরুল আহসান তালুকদার। সে সময় তিনি ইয়ামিন মৃধার ছেলে মেয়ের লেখাপড়ার খরচ ও দুই শতাংশ জমিসহ একটি ঘরের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন। তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মঙ্গলবার (৪ এপ্রিল) ইয়ামিন মৃধাকে মধুখালী পৌরসভার দাওলিয়া পাড়ার আশ্রয়ণ প্রকল্পে একটি ঘর বুঝিয়ে দেন মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আশিকুর রহমান চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ মার্চ দুপুরে ইয়ামিন মৃধা ও তার ১৫ বছরের ছেলেকে পাশের জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি কক্ষে আটকে রেখে কথিত ধর্ষণের অভিযোগে অমানুষিক নির্যাতন চালায় দুই নারীসহ সাত-আটজন ব্যক্তি। সেই নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে বিভিন্ন স্তরের ব্যক্তিবর্গ। পরবর্তীতে ওই ঘটনায় ইয়ামিন মৃধা বাদী হয়ে গত ২০ মার্চ মধুখালী থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও সাত-আটজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিজ্ঞাপন
জহির হোসেন/এবিএস