ভোলার লালমোহন উপজেলায় বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সৃষ্ট অগ্নিকাণ্ডে এক রিকশাচালকের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। মাথা গোঁজার ঠাঁই হারিয়ে খোলা আকাশের নিচে দিন পার করছে এই পরিবার।

সোমবার (১০ এপ্রিল) ভোলার লালমোহন পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের সুগন্ধা সড়কের পাশে নূরুল ইসলাম মিয়ার ছেলে রিকশাচালক সুমনের বসত ঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। তবে এর আগেই আগুনে পুড়ে যায় তার ঘর।

জানা যায়, সুমন অন্যের জমিতে ঘর তুলে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করতেন। রিকশা চালানোর পাশাপাশি গরু পালন করেও সংসার চালাতো তাদের। তবে সোমবার দুপুরে আগুনে পুড়ে গেছে সেই মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু। এতে করে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সুমন। 

সুমন ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার দুপুরের দিকে আমার স্ত্রী ফোন করে জানায় ঘরে আগুন লেগেছে। এর ১০ মিনিটের মধ্যে এসে দেখি পুরো ঘর পুড়ে গেছে। ঘরে থাকা অন্তত ৩ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া ছোট ভাইকে দেওয়ার জন্য ব্যাংক থেকে তোলা ঘরে রাখা নগদ দেড় লাখ টাকাও পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। রোদে পুড়ে আর বৃষ্টিতে ভিজে রিকশা চালিয়ে ঘরটি নির্মাণ করেছিলাম। কষ্টের টাকায় ফ্রিজ, টিভি, খাটসহ অন্যান্য আসবাবপত্র কিনেছিলাম। কিন্তু সর্বনাশা আগুনে রিকশার ব্যাটারি চার্জারসহ পুড়ে নিমিষেই সবকিছু শেষ হয়ে গেল।

তিনি আরও বলেন, এখন মাথা গোঁজার ঠাঁইটুকু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছি। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আশ্রয় নিয়েছি ছোট ভাইয়ের ঘরে। তবে সেখানে আর কতদিন থাকতে পারব? এই মুহূর্তে নতুন করে ঘর তোলাও সম্ভব না। তাই সরকারের কাছে দাবি নতুন করে একটি ঘর তুলতে আমাকে সহযোগিতা করুন।

লালমোহন ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমাম হোসেন হাওলাদার ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবরটি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সুমন অত্যন্ত নিরীহ লোক সে অন্যের জায়গায় ঘর তুলে থাকে। তার সব কিছু আগুনে পুড়ে এখন সে নিঃস্ব হয়ে গেছে। সরকারের কাছে আকুল আবেদন করছি তাকে যেন সার্বিক সহযোগিতা করে একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়া হয়।

লালমোহন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহাগ ঘোষ জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, তাকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

আরকে