খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের বদলে টাকা দিচ্ছেন আ.লীগ নেত্রী
নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৩০ কেজি চালের বদলে উপকারভোগীদের ৩০০ টাকা করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মিনার আক্তার নামে এক ডিলারের ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ওই ডিলারের গুদাম সিলগালা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নওপাড়া বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাবেরী জালাল।
বিজ্ঞাপন
সেখানে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ডিলার মিনার আক্তারকে ১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং চাল মজুদকৃত গুদামটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।
মিনার আক্তার উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট (গণিতাশ্রম) গ্রামের প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের স্ত্রী।
বিজ্ঞাপন
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশের হতদরিদ্র ও অসহায় মানুষের খাদ্য চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেওয়া বিশেষ একটি উদ্যোগ। এ কর্মসূচির আওতায় কেন্দুয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের ডিলার মিনার আক্তার ২৯৮ জন সুবিধাভোগীর মধ্যে চাল বিক্রি করেন। প্রতি কার্ডধারীর কাছে ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল বিক্রির নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ডিলার মিনা আক্তার চাল বিক্রি না করে সুবিধাভোগীদেরকে নগদ ৩শ টাকা করে দিয়ে দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার দুপুরে অভিযান পরিচালনা করেন ইউএনও। এ সময় তিনি মিনা আক্তারকে ১ হাজার টাকা জরিমানাসহ গুদাম ঘরটি সিলগালা করে দেন।
তবে ডিলার মিনা আক্তারের সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, আমি কোনো সুবিধাভোগীকে টাকা দেইনি। সবাইকে চালই দেই। তবুও কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে লেগেছে। তারা মিথ্যা প্রচার দিয়ে আমাকে হয়রানি করছে।
এ বিষয়ে ইউএনও কাবেরী জালাল বলেন, মিনা আক্তারের ডিলারশিপ বাতিলের পরে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এদিকে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. শহীদুল্লাহ জানান, খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় কেন্দুয়া উপজেলার ১৩টি ইউনিয়নে মোট ৮ হাজার ৬৭৬ জন কার্ডধারী সুবিধাভোগী রয়েছেন। আর এ চাল বিক্রির জন্য ডিলার রয়েছেন ২৬ জন। সপ্তাহে সোম, মঙ্গল ও বুধবার এই তিন দিন ডিলাররা খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিক্রি করেন।
জিয়াউর রহমান/আরকে