কিশোরগঞ্জে পেট্রোল দিয়ে রিকশাচালক মো. শামীমকে পুড়িয়ে হত্যা মামলায় একজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে কিশোরগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মো. জান্নাতুল ফেরদৌস ইবনে হক এ রায় ঘোষণা করেন। একই সঙ্গে ২ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। 

রায় ঘোষণার সময় আসামি পলাতক  ছিলেন। এছাড়া অন্য তিন আসামি আবির হোসেন ওরফে জনি, মো. আলমগীর ও মো. সাজন অপপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় শিশু আদালতে তাদের বিচার কার্যক্রম চলছে।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. শফিকুল ইসলাম (২৮) কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার বৌলায় ইউনিয়নের আমাটি শিবপুর এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। নিহত মো. শামীম (২২) একই এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। 

কিশোরগঞ্জের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমার ফারুক সঞ্জু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ১০ সেপ্টেম্বর রিকশায় দুলাভাই ফারুক হোসেনকে বাড়িতে রেখে নিজ বাড়ি যাচ্ছিলেন শামীম। পথে আবির হোসেন জনি, মো. আলামীন, মো. শফিকুল ইসলাম, মো. সাজনসহ কয়েকজন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শামীমের পথরোধ করে। মুখ ও চোখ এবং হাত পেছনে বেঁধে মারধর করে। একপর্যায়ে শামীমের শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে শামীম দগ্ধ হন। স্থানীয়রা শামীমকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে ১১ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ২টার দিকে শামীমের মৃত্যু হয়।

ঘটনার দিন শামীমের চাচা মো. মানিক বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার তৎকালীন পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ মোরশেদ জামান ২০১৬ সালের ২৫ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ বুধবার মামলার রায় ঘোষণা করেন।

আরকে