বিজয়ীদের মুড়ি পুরস্কার দিলো নারায়ণগঞ্জ শিশু একাডেমি
নারায়ণগঞ্জে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মুড়ি পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। শিশু একাডেমির এমন কাণ্ডে বিজয়ী শিশু ও তাদের অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার দাবি বৈশাখ উপলক্ষ্যে মুড়িসহ দেশীয় বিভিন্ন খাবার পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ এপ্রিল) নারায়ণগঞ্জে বৈশাখ উপলক্ষ্যে শিশু একাডেমি চিত্রাঙ্কন ও রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। পরে শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সংস্থাটি মোট ১৫ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মুড়ি ও একটি সিরামিকের প্লেট পুরস্কার হিসেবে দেয়।
বিজ্ঞাপন
নারায়ণগঞ্জ শিশু একাডেমির সূত্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জে মোট ১৫টি স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থী শিশু একাডেমি কর্তৃক আয়োজিত রচনা লিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। পরে আজ আনুষ্ঠানিকভাবে নারায়ণগঞ্জ শিশু একাডেমি রচনা লিখন বিভাগে ছয়জন শিক্ষার্থী ও চিত্রাঙ্কন বিভাগে নয়জন শিক্ষার্থীকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। প্রতিজন বিজয়ী শিক্ষার্থীকে একটি সিরামিকের প্লেট ও ছোট পলিথিনের প্যাকেটে মুড়ি পুরস্কার হিসেবে দেয় নারায়ণগঞ্জ শিশু একাডেমি।
পরিচয় গোপন রাখার শর্তে এ বিষয়ে ক্ষোভ জানিয়ে বিজয়ী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, নারায়ণগঞ্জ শিশু একাডেমি একটি ঐতিহ্যবাহী সংস্থা। সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় শিশুদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাটির এধরণের কার্যক্রম হাস্যরস সৃষ্টি করেছে। তারা পুরস্কার দিয়েছে একটি প্লেট আর মুড়ি। মুড়ি কী কোনো প্রতিযোগিতার পুরস্কার হতে পারে? এধরনের পুরষ্কার দেওয়ার কি প্রয়োজন ছিল তাদের? তারা শিশুদের একটি কলমও দিতে পারত। এধরনের পুরস্কার দিয়ে সরকারের মহতী কার্যক্রমকে সমালোচনার মুখে ফেলে দেওয়া হলো।
বিজ্ঞাপন
এদিকে এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ শিশু একাডেমির শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা ইসরাত জাহান ঢাকা পোস্টকে বলেন, রচনা লিখন ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীদের মাঝে তাদের পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়েছে। পুরস্কার বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীকে একটি সিরামিকের প্লেট ও মুড়ি মিষ্টি খৈ, বাতাসাসহ বিভিন্ন বৈশাখী বা দেশীয় খাবার দেওয়া হয়েছে। এধরনের খাবার আমরা প্রায়ই শিক্ষার্থীদের খেতে দেই। তবে রমজান হওয়ায় তা প্যাকেট করে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আবির শিকদার/এফকে