গাজীপুরের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঈদে ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে যানবাহনের চাপও। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের টঙ্গীর স্টেশন রোড, ভোগড়া বাইপাস মোড় এবং জয়দেবপুর-চৌরাস্তা এলাকায় এ পরিস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।

সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও মানুষের চাপ আরও বাড়বে। এদিকে ঈদে ঘরমুখী মানুষের ভোগান্তি দূর করে ঘরে ফেরা নিশ্চিত ও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে দায়িত্ব পালন করছেন জেলা ও হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা। এছাড়া পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করতে রোভার স্কাউট সদস্যরাও কাজ করছে।

গাজীপুর মহানগর পুলিশের ট্র্যাফিক বিভাগের উপ-কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঈদযাত্রায় আমরা কয়েক ক্যাটাগরি ও কয়েক স্তরে ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনা সাজিয়েছি। সড়কে আমাদের নিয়মিত পুলিশের সঙ্গে ১০০ এপিবিএন সদস্য এবং আরও এক হাজার পুলিশ সদস্য পালাক্রমে ডিউটি পালন করবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে পুরোপুরি যানজটমুক্ত রাস্তা। যে কোনো জায়গায় যানজট হলে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ক্লিয়ার করে দেব। এছাড়া মহাসড়কে থ্রি-হুইলার মুক্তকরণ, ফুটপাত মুক্ত করা, ছিনতাই, মলম পার্টি ঠেকানো, ভাড়া নৈরাজ্য ঠেকানো। এছাড়া ফিটনেসবিহীন গাড়ির জন্য ৮টি প্রসিকিউশন টিম প্রস্তুত রয়েছে। মহাসড়কে হঠাৎ গাড়ি নষ্ট হয়ে গেলে তাৎক্ষণিকভাবে তা সরানোর জন্য ৯টি রেকারও প্রস্তুত রয়েছে।

পুলিশের পাশাপাশি মহাসড়কে কাজ করছে স্কাউট সদস্যরা। ভোগড়া বাইপাস মোড়ে কর্তব্যরত গাজীপুরের রোভার স্কাউট সদস্য মো. সাইদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, কয়েক বছর ধরেই ঈদে ঘরমুখী মানুষদের সহায়তা করে যাচ্ছি। এ বছর ভোগড়া বাইপাসসহ চান্দনা-চৌরাস্তা, টঙ্গী, চন্দ্রা, রাজেন্দ্রপুরে আমাদের পাঁচটি টিম পুলিশের সঙ্গে ট্রাফিকের কাজ করছে। বিশেষ করে যাত্রীদের পথ নির্দেশনা, রাস্তা পারাপার, ছিনতাই ও মলম পার্টি সম্পর্কে যাত্রীদের সচেতন করার চেষ্টা করছি।

তিনি আরও বলেন, চান্দনা-চৌরাস্তাসহ একাধিক স্থানে গাজীপুরে চলমান বিআরটি প্রকল্পে ফ্লাইওভার নির্মাণকাজের মালামাল ও লোহার সরঞ্জাম থাকায় ময়মনসিংহ মহাসড়কের কয়েকটি স্থানে পথচারী পারাপার হতে গিয়ে গাড়ির গতি ধীর হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় আন্ডারপাস, ফুট ওভারব্রিজ না থাকায় রাস্তা পারাপারে সমস্যা হচ্ছে। গাড়ির লম্বা লাইন তৈরি হচ্ছে। কিছু স্থানে গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলার জন্যও গাড়ির স্বাভাবিক গতি কমে হচ্ছে। আমরা এসব নিয়ন্ত্রণে কাজ করছি।

শিহাব খান/এমজেইউ