গোপনে ভিজিডির চাল বিক্রি করে পালিয়ে গেলেন ইউপি সচিব
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন একটি দোকানে হতদরিদ্রদের মাঝে বিতরণ করা সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ভিজিডির চাল গোপনে বিক্রি করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সচিব শেখ ফরিদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আলোয়া ইউনিয়ন পরিষদে ভিজিডির চাল বিক্রির ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আলোয়া ইউনিয়ন পরিষদে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (ভিজিডি) চাল গত ১৩ এবং ১৪ এপ্রিল বিতরণ করা হয়। এ সময় ১৪ জন কার্ডধারী না আসায় চালগুলো ইউনিয়ন পরিষদের গোডাউনে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়।
বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানান, আলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদ ইউনিয়ন পরিষদের ভবনে যাওয়ার পর সুশীল নামে এক গ্রাম পুলিশের মাধ্যমে ৩০ কেজি ওজনের ১৫ বস্তা চাল পরিষদ সংলগ্ন দোকানদার আজাদের কাছে বিক্রি করেন। পরে চাল বিক্রির বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়। তবে প্রশাসনের লোকজন আসার আগেই সচিব ও দোকানদার আজাদ পালিয়ে যান। পরে প্রশাসনের লোকজন বিক্রি করা চাল জব্দ করেন।
গ্রাম পুলিশ সুশীল জানান, বাড়িতে ছিলাম। সচিব ফোন করে পরিষদে আসতে বলেন এবং খালি বস্তা গুনতে বলেন। পরিষদে গিয়ে দেখি আজাদ ভ্যান গাড়িতে চাল তুলছেন। পরে আর কিছু জানি না। আজাদ মাঝে মধ্যেই পরিষদ থেকে এভাবে চাল নেন।
বিজ্ঞাপন
এ বিষয়ে জানতে আলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব শেখ ফরিদের মুঠোফোনে বারবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
আলোয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক বলেন, কয়েকদিন আগে ভিজিডির চাল বিতরণ করা হয়। কয়েকজনের কার্ড না আসায় কিছু চাল গোডাউনে রাখা হয়। সকালে খবর পেয়ে পরিষদের গুদামের তালা ভেঙে দেখি চালের বস্তাগুলো নেই। এছাড়া সচিবকেও পরিষদে পাওয়া যায়নি। পরে ইউএনওর উপস্থিতিতে আজাদ মিয়ার দোকান থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, চাল উদ্ধারের ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগ ওঠা ওই সচিবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।
অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর