শেষ মুহূর্তে প‌রিবা‌রের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভা‌গি কর‌তে জীব‌নের ঝুঁকি নি‌য়ে খোলা পিকআপ ও ট্রা‌কে বা‌ড়ি ফিরছে মানুষ। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) ঢাকা-টাঙ্গ‌াইল-বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব মহাসড়‌কের এলেঙ্গা বাসস্ট‌্যান্ড, সল্লা, হা‌তিয়া ও বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব গোলচত্বর এলাকায় এমন চিত্র দেখা গে‌ছে। 

মহাসড়‌কে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীবা‌হী বা‌সের চে‌য়ে খোলা পিকআপ, ট্রাক ও ব‌্যক্তিগত গা‌ড়ি বেশি রয়েছে। মানুষ বাস না পে‌য়ে প্রচন্ড রোদ ও গর‌মের ম‌ধ্যে খোলা পিকআপ ও ট্রা‌কে বাড়ি যা‌চ্ছে। এতে অনে‌কেই অসুস্থ‌্য হ‌য়ে যা‌চ্ছে। এছাড়াও জীব‌নের ঝুঁকি নি‌য়ে মানুষজন খা‌লি মুরগির গা‌ড়ির খাঁচার ওপর ব‌সেও যা‌চ্ছে বা‌ড়ি।

গাজীপু‌রের চন্দ্রায় এক‌টি গা‌র্মেন্টসে চাক‌রি ক‌রেন তৈয়বুর। ছোট শিশু সন্তানসহ প‌রিবা‌রের সদস‌্যদের নি‌য়ে বা‌ড়ি যাওয়ার জন‌্য ভোর থে‌কে চন্দ্রায় দাঁড়ি‌য়ে‌ছি‌লেন বা‌সের জন‌্য। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও বাস না পাওয়ায় বাধ‌্য হ‌য়ে অন‌্যান‌্যদের মতো খোলা পিকআপে চ‌ড়ে‌ছেন বগুড়ায় যাওয়ার জন্য। 

ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের কা‌লিহাতী উপ‌জেলার সল্লা এলাকায় কথা হয় গা‌র্মেন্টেস কর্মী তৈয়বু‌রের সঙ্গে। তি‌নি ব‌লেন, গতকাল ছু‌টি পে‌য়ে‌ছি। ভোরে বাসা থে‌কে বের হ‌য়ে গা‌ড়ি পাইনি। তাই বাধ‌্য হ‌য়ে খোলা পিকআপে যে‌তে হ‌চ্ছে। এটাও আনন্দ। 

তৈয়বু‌রের মতো আরও অনেকে প‌রিবার নি‌য়ে খোলা পিকআপ ও ট্রাক‌যো‌গে বা‌ড়ি যা‌চ্ছেন।

এদিকে বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) মধ্যরাত থেকে শুক্রবার সকাল ১০টা পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার সড়কে থেমে থেমে যানজটের সৃষ্টি হয়। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়ে উত্তরবঙ্গবাসী মানুষ। তাদের অভিযোগ, এই ১৩ কিলোমিটার সড়ক পাড়ি দিতেই দুই থেকে দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় গেলেছে। এর ফলে অতিরিক্ত গরমে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে নারী ও শিশুদের। 

পুলিশ জানায়, অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সেতু ও মহাসড়কে গাড়ি বিকল ছাড়াও ছোট ছোট দুর্ঘটনার কারণে মহাসড়কে এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। 

মহাসড়‌কের সল্লা এলাকায় দা‌য়িত্বরত পুলিশের এসআই  আইয়ুব আলী জানান, সকাল ১০টা পর্যন্ত মহাসড়‌কে যানবাহনের ব‌্যাপক চাপ ছিল। এরপরই যানবাহনের চলাচল স্বাভা‌বিক হ‌য়ে‌ছে।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর