ফাঁকা হতে শুরু হয়েছে সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক
শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায় ফাঁকা হতে শুরু হয়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জের মহাসড়ক। মহাসড়কে ঘরমুখো মানুষ ও যানবাহনের চাপ এখন নেই বললেই চলে। শুক্রবার (২১ এপ্রিল) বিকেলে মহাসড়কে অল্প সংখ্যক যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
এর আগে দুপুরের দিকে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। মূলত সকালে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড়ে যানজটে আটকে পড়া গাড়িগুলো ছেড়ে আসার পর সেতুর পশ্চিম পাড়ে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়ায় যান চলাচলের গতি কিছুটা কমে যায়।
বিজ্ঞাপন
বিকেলে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কের কড্ডার মোড় থেকে নলকা পর্যন্ত সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, মহাসড়কে যানবাহনের সেই চাপ নেই, নেই আগের সেই কোলাহল। মহাসড়কজুড়ে যেন একটা নিস্তব্ধতা বিরাজ করছে। শেষ মুহূর্তে কিছু যানবাহন চলাচল করলেও তুলনায় খুবই কম। বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা পড়ে থাকছে মহাসড়ক।
বিজ্ঞাপন
সিরাজগঞ্জের ট্রাফিক পরিদর্শক (প্রশাসন) সালেকুজ্জামান খান সালেক ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে যানবাহন নেই বললেই চলে। খুবই সীমিত পরিমাণ যানবাহন চলাচল করছে। বেশিরভাগ সময়ই ফাঁকা থাকছে মহাসড়ক।
তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গের ঘরে ফেরা মানুষের এবারের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন হচ্ছে। ঘরে ফেরা মানুষের ভোগান্তি যেন না হয় ও তাদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও জেলা পুলিশ এখনো মহাসড়কে সর্বোচ্চ সচেষ্ট রয়েছে।
হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকা থেকে হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানা পুলিশের ট্রাফিক পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মহাসড়কে গাড়ির চাপ নেই বললেই চলে। মাঝে মাঝে কিছু যানবাহন চলাচল করছে। মহাসড়কে এই মুহূর্তে তুলনামূলক ব্যক্তিগত গাড়ি বেশি চলছে। তবুও যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আমরা তৎপর রয়েছি।
প্রসঙ্গত, এবারের ঈদযাত্রা যানজটমুক্ত ও মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে প্রায় ৮০০ পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। যানজট সৃষ্টিকারী পার্শ্ব রাস্তাগুলো বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। মহাসড়কের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো মেরামত করা হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সিরাজগঞ্জের ৪৫ কিলোমিটার মহাসড়কে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জেলা পুলিশ, জেলা ট্রাফিক বিভাগ ও হাইওয়ে থানা পুলিশ।
শুভ কুমার ঘোষ/আরএআর