সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ঈদের নামাজের সময় মসজিদের সামনে থেকে জুতা হারানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহত কাশেম মিয়া (৩০) দোয়ারাবাজার উপজেলার মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে।

শনিবার (২২ এপ্রিল) সকালে উপজেলার মাইজখলা গ্রামে ঈদের নামাজের পর এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৪টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় কাশেম মিয়া। 

সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আহতরা সিলেট -সুনামগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। 

পুলিশ জানায়, সকালে ঈদের নামাজের পর এক বাচ্চার জুতা হারিয়ে যায়। জুতা হারানোকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের শান্ত মিয়া এবং রহমত আলীর পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সহকারে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়ে শান্ত মিয়ার নাতি কাশেম সিলেট চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেলে মারা যায়।

নিহতের সত্যতা নিশ্চিত করে দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেবদুলাল ধর ঢাকা পোস্টকে বলেন, সকালে নামাজের পর বাচ্চার জুতা হারানো নিয়ে শান্ত মিয়া ও রহমত মিয়ার পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সিলেট হাসপাতালে একজন মারা গেছে বিকেলে। সিলেট পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট করবে। ঘটনাস্থল থেকেই উভয় পক্ষের ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর হত্যা মামলা গ্রহণ করা হবে। 

সোহানুর রহমান সোহান/এমএএস