খাদ্য সামগ্রী নিয়ে অসহায় সেই পরিবারের পাশে এমপিপুত্র
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের অসুস্থ স্বামী ও ৮ সন্তান নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করা বিবি খাদিজার (৪০) পাশে দাঁড়ালেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশিদ কিরণ এমপির ছেলে জিহান আল রশিদ।
গত বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের আবদুল গণি মুন্সী বাড়িতে যান তিনি। এ সময় এক মাসের জন্য চাল, ডাল, তেল, সেমাই, দুধসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পরিবারটির হাতে তুলে দেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
জানা যায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার নরোত্তমপুর ইউনিয়নের নরোত্তমপুর গ্রামের আব্দুল মুন্সি বাড়িতে ভাঙা টিন এবং পলিথিনে মোড়ানো ছোট্ট একটি ঘরে বসবাস করেন আহমেদ উল্লাহ ও বিবি খাদিজা দম্পতি। অভাবের পাশাপাশি ঝড়-বৃষ্টি আর শীতের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলছে তাদের জীবন। বৃষ্টি হলে পানিতে ভেসে যায় ঘরের মেঝে। দিনের বেলায় পৌঁছে না সূর্যের আলো। ৮ সন্তানের মধ্যে বিবাহযোগ্য দুই মেয়ে থাকলেও ঘরের অভাবে বিয়ে হচ্ছে না তাদের।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্টে ‘ক্যান্সারে হাসপাতালে স্বামী, ৮ সন্তান নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে স্ত্রী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নজরে আসে এমপিপুত্র কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জিহান আল রশিদের। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি খাদ্যসামগ্রী ও নগদ অর্থ নিয়ে হাজির হন। এ সময় নতুন ঘর নির্মাণের ব্যবস্থা করে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
বিজ্ঞাপন
খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন বিবি খাদিজা। তিনি ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার যাওয়ার মতো আর কোনো জায়গা নাই। স্বামী অসুস্থ হওয়ার পর থেকে খুব কষ্ট করে দিন পার করছি। সন্তানদের ঠিকমতো খাবার দিতে পারি না। এই খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকায় আমাদের অনেক উপকার হলো।
অসুস্থ আহমেদ উল্লাহ ঢাকা পোস্টকে বলেন, এমপি সাহেবের ছেলে আমাকে এক মাসের খাদ্য সামগ্রী ও নগদ কিছু টাকাও দিয়েছে। আগামী দুই মাস আমার আর খাদ্য সামগ্রী ক্রয়ের চিন্তা থাকবে না। তবে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে আমি এই জরাজীর্ণ ঘরে থাকি। যদি এমপিপুত্র আমাদের একটা ঘরের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে খুব উপকার হয়।
এ বিষয়ে এমপিপুত্র জিহান আল রশিদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ঢাকা পোস্টে খবরটা দেখেই পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করি। কিন্তু ওই সময় বিদেশ থাকায় সাহায্য পৌঁছাতে পারিনি। আমি দেশে এসেই ঈদের আগে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করেছি। আমার বাবার সঙ্গে কথা বলে যদি ঘরের ব্যবস্থা করা যায় তাহলে ভালো হয়। আমি সার্বক্ষণিক পরিবারটির খবর রাখবো।
এ সময় নরোত্তমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মেহেদি হাসানসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
হাসিব আল আমিন/আরএআর