ঈদুল ফিতরের পরের দিন কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের জন্য ১০টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হলেও আশানুরূপ যাত্রী পাওয়া যায়নি। স্বাভাবিক সময়ের মতো যাত্রী হওয়ায় চারটি লঞ্চ যাত্রী নিয়ে বরিশাল নদী বন্দর ত্যাগ করেছে। বাকি ৬টি লঞ্চ যাত্রী না পাওয়ায় ঘাটেই থেকে গেছে।

রোববার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯টায় বরিশাল নদী বন্দর ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। তবে সোমবার থেকে যাত্রী বাড়তে পারে এমন ধারণা লঞ্চ কর্তৃপক্ষের।

বিআইডব্লিউটিএ বরিশাল নদী বন্দরের নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক কবির হোসেন জানিয়েছেন, পারাবত ১৮, সুন্দরবন ১৬, কুয়াকাটা ২, অ্যাডভেঞ্চার ৯ যাত্রী নিয়ে ঘাট ছেড়েছে। বাকি ৬টি যাত্রীর সংকটে ছেড়ে যায়নি। এছাড়া আরো একটি ভায়া লঞ্চ গেছে। 

সরেজমিনে দেখা গেছে, নদী বন্দরে স্বল্প সংখ্যক যাত্রী রয়েছে। চারটি লঞ্চের ডেকেও হাতেগোনা যাত্রীর সংখ্যা। 

সুন্দরবন নেভিগেশনের ব্যবস্থাপক জাকির হোসেন বলেন, কেবিনও সব বিক্রি হয়নি। আশা করছি ঈদের দ্বিতীয় দিন থেকে বাড়বে যাত্রী। 

বাপ্পী নামে এক লঞ্চ যাত্রী বলেন, বাসে টিকিটের চেষ্টা করেও পাইনি। এজন্য লঞ্চে যাচ্ছি। তাছাড়া লঞ্চে অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যেও যেতে পারব।

আরেক যাত্রী বলেন, সঙ্গে বয়স্ক ও শিশু রয়েছে। তাদের নিয়ে বাসে যাওয়া কষ্টকর। এজন্য এসেছি লঞ্চে—যাচ্ছিও লঞ্চে।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে সরকারি অফিস খুলবে। ঈদ শেষে মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে।

সৈয়দ মেহেদী হাসান/এমএ