রংপুরের গঙ্গাচড়ায় আওয়ামী লীগ অফিসে ঢুকে যুবলীগ কর্মীকে মারধর এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের মামলায় স্থানীয় ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির লালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকালে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, দলীয় কর্মকাণ্ড ও পারিবারিক কলহের জেরে উত্তর কোলকোন্দ মীরপাড়ার খান সাহেবের সঙ্গে প্রতিবেশী যুবলীগ কর্মী শহিদুজ্জামান সোহাগের বিরোধ চলছিল। সোমবার (২৪ এপ্রিল) একই বিষয়ে শহিদুজ্জামান সোহাগের সঙ্গে খান সাহেবের বাকবিতণ্ডা হয়। এরই জেরে রাত ৮টায় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে শহিদুজ্জামান সোহাগ অবস্থান করছে জেনে খান সাহেব ও তার ভাতিজা সুজন মিয়া, শামীম মিয়া, ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির লাল, রোকনুজ্জামান ওরফে কালু মিয়া ও বাবু মিয়া ওই অফিসে যান। সেখানে তারা শহিদুজ্জামান সোহাগকে মারধর করেন এবং অফিসের চেয়ার-টেবিল তছনছসহ প্রধানমন্ত্রী-বঙ্গবন্ধুর ছবি ভাঙচুর করেন।

পরে স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে খান সাহেব ও তার ভাতিজারা সেখান থেকে চলে যান। এ ঘটনায় সোহাগ বাদী হয়ে সোমবার রাতে গঙ্গাচড়া মডেল থানায় খান সাহেবসহ তার ভাতিজাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

গঙ্গাচড়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ইউপি সদস্য হুমায়ুন কবির লালকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আজ মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/এমজেইউ