নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের হাফিজপুর গ্রামের কৃষক রেজাউল করিমের ৬৬ শতাংশ পাকা বোরে ধান কেটে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। পরে ধানগুলো মাড়াই করে কৃষকের ঘরে তুলে দিয়েছেন তারা। এতে অর্থের কারণে শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষক রেজাউলের মুখে হাসি ফুটেছে।

মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ওই ইউনিয়নের ছাত্রলীগ নেতা রুবায়েত রহমান আরাফাত নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ধানগুলো কেটে দেন। রুবায়েত রহমান আরাফাত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। 

স্থানীয় বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম বলেন, সার, বীজ, সেচ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় ৬৬ শতাংশ জমিতে ধান ফলাতে অনেক ধার-দেনা হয়ে গেছে কৃষক রেজাউল করিমের। শ্রমিক দিয়ে ধান কাটা ও মাড়াই করতে আরও অনেক টাকার দরকার হতো। কোনো প্রকার প্রতিদান ছাড়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ধানগুলো ঘরে তুলে দিয়েছে। তাদের মতো বাকিরাও যদি এভাবে গরিব কৃষকদের পাশে দাঁড়াতো তাহলে ধান কাটা নিয়ে দুশ্চিন্তা করা লাগতো না।

কৃষক রেজাউল করিম বলেন, অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে শ্রমিকদের মজুরিও এবার বাড়তি। এদিকে আবার বাইরে থেকে শ্রমিক কম আসায় শ্রমিক সংকটও রয়েছে এবং ঝড় বৃষ্টির শঙ্কায় জমির পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এমন সময় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আমার জমির ধানগুলো কেটে মাড়াই করে ঘরে তুলে দিয়েছে। তাদের এমন উদ্যোগে ভীষণ খুশি হয়েছি। তাদের জন্য হাত তুলে দোয়া করি।

ছাত্রলীগ নেতা রুবায়েত রহমান আরাফাত বলেন, ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকা ধান ঘরে তোলা নিয়ে দুশ্চিন্তায় থাকা প্রান্তিক কৃষকদের খোঁজখবর নিচ্ছেন আমাদের নেতাকর্মীরা। চাহিদা অনুযায়ী কৃষকদের সহযোগিতা করা হচ্ছে। ছাত্রলীগ দেশের যে কোনো দুর্যোগ, দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। আগামীতেও আমরা সাধারণ মানুষের পাশে থাকব।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সহিদ উল্যাহ খান সোহেল ঢাকা পোস্টকে বলেন, ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই অসহায় মানুষের পাশে আছে। আমরা করোনাকালেও দেখেছি শ্রমিক সংকটে থাকা কৃষকের ধান কেটে দিতে। বর্তমানেও শ্রমিক সংকট রয়েছে। এমন উদ্যোগের জন্য রুবায়েত ও তার সহযোগীদের জন্য অন্তর থেকে দোয়া রইলো।

হাসিব আল আমিন/আরএআর