মানিকগঞ্জ শহরের অন্তত ১৪টি দোকানে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকান থেকে নগদ টাকাসহ জিনিসপত্র নিয়ে গেছে চোর। প্রতিটি দোকানে চোরের দল একই কায়দায় সাটার ভেঙে ভেতরে ঢুকেছে।

এক রাতে একই সময়ে এতগুলো দোকানে চুরির ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন দোকান মালিকরা। বুধবার (২৬ এপ্রিল) দিবাগত রাতের কোনো এক সময় এই চুরির ঘটনা ঘটে।

ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন মানিকগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহম্মদ গোলাম আজাদ খান। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত তিনজন চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছেন।

মানিকগঞ্জের প্রধান সড়ক শহীদ রফিক সড়কের হাইস্কুল গেটের উল্টো দিকে সবুজ ফার্মেসী, সিটি ড্রাগস, দেশ লাইব্রেরি এবং স্যামসাং মোবাইলের দোকানে চুরি হয়। এর মধ্যে সবুজ ফার্মেসী থেকে ১৫ হাজার, দেশ লাইব্রেরি থেকে তিন হাজার, সিটি ড্রাগস থেকে তিন হাজার টাকা চুরি হয়েছে। তবে স্যামসাং মেবাইলের দোকানের সাটার ভাঙার চেষ্টা করা হলেও ভেতরে ঢুকতে পারেনি।

হাইস্কুল গেটের একশ গজ দূরে পৌর মার্কেটের আমিন ফার্মেসী থেকে চুরি হয়েছে ১৫ হাজার টাকা। মায়ের দোয়া নামের একটি দোকানের সাটার ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে।

অপর দিকে দেবেন্দ্র কলেজের সামনে গঙ্গাধরপট্টি রাস্তার মা জেনারেল স্টোর থেকে ২ হাজার টাকা, খান ভ্যারাইটিজ স্টোর থেকে বেশ কিছু পরিমাণের সিগারেটের প্যাকেট, মোবাইল কার্ড এবং পিয়াস নামের একটি দোকান থেকে প্রচুর পরিমাণে মোবাইল কার্ডসহ সিগারেটের প্যাকেট খোয়া গেছে।

এছাড়াও শহরের আরও দুটি মুদি দোকানেও চোরের দল হানা দিয়ে নগদ টাকা, মোবইল কার্ডসহ লক্ষাধিক টাকা নিয়ে গেছে। এদিকে বনগ্রাম এলাকায় আরও তিনটি দোকানের সাটার ভাঙার চেষ্টা হয়েছে। তবে দোকানের ভেতর চোরের দল ঢুকতে না পারায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনের সময় পুলিশ সুপার এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে মানিকগঞ্জ সদর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রউফ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনা জানার পরপরই ফোর্স পাঠানো হয়েছে। সিসি টিভিসহ বিভিন্ন সোর্সের মাধ্যমে জড়িতদের শনাক্তকরণে কাজ করছে পুলিশ। এ ঘটনায় চারজনকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমকি জিজ্ঞাসাবাদের তিনজন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। এখনও ভুক্তভোগী কোনো দোকান মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সোহেল হোসেন/আরকে