ঈদের এক সপ্তাহ পার হলেও রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া ঘাটে এখনো রয়েছে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঘাটের এমন চিত্র দেখা যায়।

সরেজমিনে দেখা যায়, অন্য দিনের তুলনায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে দূরপাল্লার বাস, মাহেন্দ্র, থ্রি-হুইলার, লোকাল বাস ও ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ ছিল অনেক বেশি। দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালেও যাত্রীদের চাপ ছিল চোখে পড়ার মতো। দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটে রয়েছে ঢাকামুখী যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি লঞ্চে গাদাগাদি করে যাত্রী তোলা হচ্ছে। লঞ্চঘাটে শৃঙ্খলার জন্য কাজ করছেন স্কাউটের সদস্যরা। তবে লঞ্চগুলোতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলার অভিযোগ করেছেন যাত্রীরা। অপরদিকে ফেরিঘাটেও রয়েছে ঢাকামুখী যাত্রী ও যানবাহনের চাপ। তবে পর্যাপ্ত ফেরি থাকায় যানবাহনগুলো সহজেই নদী পার হতে পারছে।

ঢাকামুখী একাধিক যাত্রী জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে যাত্রী ও যানবাহনের চাপ রয়েছে। তবে ঘাটে কোনো ভোগান্তি নেই। যাত্রীরা নির্বিঘ্নে ফেরি অথবা লঞ্চে নদী পার হয়ে তাদের গন্তব্যে যেতে পারছে।

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীর চাপ রয়েছে। তবে কোনো ভোগান্তি নেই। যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের জন্য ছোট-বড় ২০টি ফেরি চলাচল করছে।

বিআইডব্লিউটিএ দৌলতদিয়া লঞ্চঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আফতাব হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গতকাল এবং আজকে লঞ্চে অন্য দিনের তুলনায় যাত্রীর চাপ বেশি। তবে নিয়ম মেনেই প্রতিটি লঞ্চে যাত্রী তোলা হচ্ছে। বর্তমানে এই রুটে ২২টি লঞ্চ চলাচল করছে।

মীর সামসুজ্জামান/এবিএস