খুলনা সিটি কর্পোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে অংশ নিলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে খুলনা মহানগর বিএনপি। একইসঙ্গে মহানগরীর চারটি থানায় সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে দলীয় কার্যালয়ে খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সভার সিদ্ধান্তে বলা হয়, যেহেতু বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে দল কোনো নির্বাচনে যাবে না, সেহেতু সভা থেকে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দলের কেউ অংশগ্রহণ করলে বা কোন প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন এমন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে সেই বা সেই সকল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সভা থেকে আগামী ৮, ৯, ১০ ও ১১ মে খুলনা সদর, সোনাডাঙ্গা থানা, দৌলতপুর থানা ও খানজাহান আলী থানা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

এ জন্য সভায় সৈয়দা রেহেনা ঈসাকে আহ্বায়ক করে অ্যাডভোকেট নুরুল হাসান রুবা ও অ্যাডভোকেট মাসুম রশিদকে সদস্য করে ৩ সদস্যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। সভা থেকে নির্বাচন কমিশন রোববার (৩০ এপ্রিল) থেকে দলীয় কার্যালয়ে থানার সম্মেলন সম্পন্ন করতে কর্মকাণ্ড শুরু করবেন বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় মহানগর বিএনপির নেতারা বলেন, আওয়ামী সরকারের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ধরে রাখার দুরভিসন্ধি জাতীয় রাজনীতিতে বিপজ্জনক অস্থিরতার জন্ম দিচ্ছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক ধ্বংস করায় বড় ধরনের খেসারত দিতে হবে সরকারকে। কোনো দেন-দরবার নয়, কোনো আলোচনা নয়। সরকারকে অপসারণ করতে হবে, পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে। সরকারের দুঃশাসনে দেশের জনগণ আজ অতিষ্ঠ। সরকার দেশের বাক-স্বাধীনতা, গণতন্ত্র ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করা দিয়েছি। এ সরকারকে মানুষ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। এদের যত তাড়াতাড়ি বিদায় করা যাবে ততই দেশের জন্য মঙ্গল হবে।

বক্তারা আরও বলেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে প্রতিবাদের গতি ততই তীব্র হবে। সরকার বুঝতে পেরেছে তাদের সময় ফুরিয়ে এসেছে। সেজন্যই তারা বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। কোন ধরনের মামলা ছাড়া নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশির নামে আতঙ্ক সৃষ্টি করা হচ্ছে। এভাবে আর চলতে দেওয়া যায় না।

মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় নির্বাহী কমিটির এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভা থেকে খুলনা জেলা কারাগারে আটক কেন্দ্রীয় তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খানসহ সকল রাজবন্দীদের মুক্তির দাবি জানানো হয়।  

সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক তরিকুল ইসলাম জহির, কাজী মো. রাশেদ, স ম আ. রহমান, সৈয়দা রেহেনা ইসা, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, মাহাবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল,  মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদি, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, ফখরুল আলম, জালাল শরিফ প্রমুখ।

মোহাম্মদ মিলন/এসকেডি