পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলায় গ্রেপ্তার আতঙ্কে ও হতাশায় সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। শনিবার (২৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার বেংহারি বনগ্রাম ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া গ্রামে তার নিজের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহত সাদ্দাম ওই গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে। তিনি পাকাঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। 

স্থানীয় ও সাদ্দামের পরিবার জানায়, সকালে মায়ের হাতে সেমাই খেয়ে বাড়ি থেকে বের হন সাদ্দাম। দুপুরে বাসায় ফিরে কিছুক্ষণ পর গলায় ফাঁস দেন। খবর পেয়ে বোদা থানার পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে সাদ্দামের মরদেহ উদ্ধার করেন। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় ইউডি মামলা করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পরিদর্শক (তদন্ত) মামুনুর রশিদ।

আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তারা জানায়, সাদ্দাম পঞ্চগড়ে সম্প্রতি সংঘটিত আহমদিয়া মুসলিম জামাতের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলার আসামি ছিলেন। মামলার পর থেকেই তিনি গ্রেপ্তার আতঙ্কে ভুগছিলেন। তার মধ্যে মামলায় জামিন না নেওয়ায় পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। গত শুক্রবার তার বালুর ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ার যন্ত্রনা সইতে না পেরে হতাশায় সাদ্দাম আত্মহত্যা করছে বলে জানায় তার পরিবার।

সাদ্দামের বাবা আনোয়ারু ইসলাম বলেন, ছেলেটা কাদিয়ানীদের ঘটনায় মামলা যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল। কয়েকদিন ধরেই খুব হতাশাগ্রস্ত দেখাচ্ছিল তাকে। আক্ষেপ যে ছেলেটা মামলার আসামি হয়ে আত্মহত্যা করে ফেলল।

মা সেলিনা আক্তার জানান, সকালে সেমাই রান্না করে খাওয়ালাম। সেমাই খাওয়ার পর ছেলেটা বলল, মা ভালো লাগতেছে না। বলে বাইরে চলে গেল, পরে দেখি ঘরে ফাঁস দিছে। কখনো ভাবিনি ও এভাবে আত্মহত্যা করবে।

পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অবস) কনক কুমার দাস সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি সাধারণ আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। মানুষ আসলে অসহিষ্ণু হয়ে পড়েছে। হতাশাগ্রস্ত অবস্থা থেকেই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা এ বিষয়ে কাজ করছি।

এসকে দোয়েল/আরকে