রাস্তার পাশে বেড়া দিয়ে ঘেরা এক শ্রেণিকক্ষে প্রচণ্ড গরমে টানা তিন ঘণ্টা ফ্যান ও লাইট ছাড়াই বসে এসএসসি পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পটুয়াখালী বদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের ৪২৫ জন শিক্ষার্থীকে।

মঙ্গলবার (২ মে) এসসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রে প্রবেশ করে দেখা যায়, শ্রেণিকক্ষে নিচু টিনের চাল তাই তাতে নেই কোনো ফ্যান ও লাইট। অল্প আলো ও প্রচণ্ড গরমের মধ্যে টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা পরীক্ষা দিতে হচ্ছে পরীক্ষার্থীদের। এর আগে অনুষ্ঠিত প্রথম পরীক্ষাটিও তারা এভাবেই দিয়েছে।

তাছাড়া পরীক্ষা শেষ হতেই মহাসড়কে অভিভাবক ও পরীক্ষার্থীদের অস্বাভাবিক ভিড় হয়। যেকোনো সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। পটুয়াখালী জেলায় অধিকাংশ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের।

দেখা গেছে, বরিশাল পটুয়াখালী মহাসড়কের পাশে বদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা কক্ষে মাথা সমান উঁচুতে দেওয়া টিনের চাল। সেই কক্ষে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন ৪২৫ জন এসএসসি পরিক্ষার্থী। শহর থেকে মাত্র ৭/৮ কিলোমিটার দূরে অরক্ষিত ও অনিরাপদ এমন একটি বিদ্যালয়ে পরীক্ষাকেন্দ্র হওয়ায় ক্ষোভ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।

নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক শিক্ষার্থী জানায়, এমনিতেই পরীক্ষা নিয়ে খুব টেনশনে থাকি তার মধ্যে যখন পরীক্ষার হলে আসি তখন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে যাই। এমন সব কেন্দ্রে হল না দেওয়াটাই ভালো।

অভিভাবকরা বলেন, বিদ্যালয়ের অন্য কোনো ভবনে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থানান্তর করে এই সমস্যা সমাধান করা খুব জরুরি। এই ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশে এমন একটি জরাজীর্ণ স্কুলে কীভাবে পরীক্ষাকেন্দ্র দেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রটি সম্পূর্ণ অনিরাপদ।

কেন্দ্র সচিব ও বদরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী আকবর বলেন, অনেক বছর আগে থেকেই পরীক্ষা কেন্দ্রটি প্রশাসনের নজরে আছে। তবে বর্তমানে আবহাওয়াজনিত কারণে শিক্ষার্থীদের কষ্ট হচ্ছে সেটা বোঝা যাচ্ছে। তবে নতুন যে বিল্ডিং নির্মানাধীন রয়েছে সেখানে পরীক্ষার হলের অনুমতি পাওয়া গেলে এই সমস্যার সমাধান হবে।

জেলা শিক্ষা অফিসার মুজিবুর রহমান বলেন, ৪২৫ জন শিক্ষার্থীর গরমে কষ্ট হচ্ছে বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধানের জন্য কেন্দ্র সংশ্লিষ্টদের ফ্যান স্থাপন ও জানালা বৃদ্ধিসহ শিক্ষার্থীদের জন্য মনোরম পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে।

মাহমুদ হাসান রায়হান/আরকে