জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ‌্যাপক নজরুল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় খুলনার কয়রা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মহারাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ২৫-৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক।

রোববার (৭ মে) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বামুন চন্দ্র বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে মামলার আসামি কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার হেড ক্লার্ক কামরুলকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

আরও পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে মারপিটের অভিযোগ

র‍্যাব-৬ খুলনার স্পেশাল কোম্পানি কমান্ডার এম সরোয়ার হুসাইন বলেন, আজ ভোরে কয়রা থেকে মামলার আসামি কামরুলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জোর করে ভুক্তভোগী শিক্ষককের কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়েছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। মামলার প্রধান আসামি ইউপি চেয়ারম্যানসহ অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এর আগে শুক্রবার (৫ মে) রাতে খুলনার কয়রা উপজেলার কয়রা উত্তরচক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ‌্যাপক নজরুল ইসলামের ওপর হামলার অভিযোগ উঠে মহারাজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে। আব্দুল্লাহ্ আল মাহমুদ কয়রা উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক।

মোহাম্মদ মিলন/এমজেইউ