গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফাকে কলেজের সকল কার্যক্রম থেকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ কর্তৃপক্ষের এক জরুরি সাধারণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। 

সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অধ্যক্ষ মো. অহিদ আলম লস্কর ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আমার কলেজের ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার দ্বারা অত্র কলেজের এক ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। শিক্ষক হচ্ছে শিক্ষার্থীদের কাছে পিতৃ সমতুল্য। এ ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন নারী ঘটিত অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু প্রমাণের অভাবে আমরা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারিনি। আজ কলেজ কর্তৃপক্ষের এক জরুরি সাধারণ সভায় তাকে স্থায়ীভাবে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও আমি শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে এই কলেজ থেকে অপসারণের জন্য অনুরোধ করে চিঠি পাঠিয়েছি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। 

অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের অনার্স ভর্তি কমিটি ও রোবার স্কাউটের দায়িত্বে ছিলেন। এছাড়াও তিনি কলেজের বিভিন্ন কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। 

এর আগে গত রোববার (৭ মে) অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক ছাত্রীকে খাতা দেখার নাম করে তার বাসায় ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে বিষয়টি ওই ছাত্রী তার পরিবারকে জানালে সোমবার (৮ মে) ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে গোপালগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন। পরে সন্ধ্যায় শহরের নবীনবাগ এলাকা থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক গোলাম মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 

মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে গোপালগঞ্জ সদর থানা থেকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আদালতে পাঠানো হয়। দুপুর ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) সদর আমলি আদালতের বিচারক অনুশ্রী রায় অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফাকে কারাগারে পাঠানোর  নির্দেশ দেন। দুপুর ১টার দিকে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আদালত থেকে কারাগারে নেওয়া হয়। 

গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাবেদ মাসুদ  বলেন, সোমবার সকালে ওই শিক্ষার্থীর মা বাদী হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ এনে সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে মামলা করেন। এ ঘটনায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

আশিক জামান/আরএআর