সাগরে সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপ আরও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড় মোখায় রূপ নিয়েছে। এটি আরও শক্তিশালী হতে পারে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানিয়েছে এর প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২নং দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

তবে বৃহস্পতিবার (১১ মে) দুপুর পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতসহ কক্সবাজারের এলাকাগুলোতে ঘূর্ণিঝড় মোখার কোনো প্রভাব পড়েনি।

এখনো শান্ত আছে সমুদ্র। পাড়ে আছড়ে পড়ছে না বড় বড় ঢেউ, বাড়েনি পানির উচ্চতাও। সকালে থেকেই কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নেমে গোসল করতে দেখা গেছে।

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তার কাজ করা সি সেইফ লাইফ গার্ডের সুপারভাইজার মোহাম্মদ ওসমান জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বর্তমানে গোসলের জন্য নিরাপদ। জেলা প্রশাসন বা সি সেইফ থেকে কোন নির্দেশনা আসলে সে অনুযায়ী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। কক্সবাজারের ৫৭৬ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখ হয়েছে যেখানে ৫ লক্ষ ৫ হাজার ৯৯০ জন মানুষের ধারণক্ষমতা রয়েছে। এছাড়া সম্ভাব্য দুর্যোগ পরিস্থিতিতে মানবিক সহায়তা প্রদানের জন্য জেলার রিজার্ভে ১০লাখ ৩০ হাজার টাকা, ৪৯০ মে.টন চাল, ১৯৪ বান্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে। সেই সাথে নতুন করে কক্সবাজার জেলার জন্যে ১০ লাখ নগদ টাকা, ৫০ মেট্রিক টন চাল, ৭ মেট্রিক টন শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জরুরি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহিন ইমরান বলেন, ঘূর্ণিঝড় শুরু হওয়ার আগেই সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক নির্ধারণ, খুব ঝুঁকিপূর্ণ-ঝুঁকিপূর্ণ-কম ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ, পর্যাপ্ত শুকনা খাবার মজুদ রাখা, ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিকটবর্তী আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা, গবাদি পশু সংরক্ষণ ইত্যাদি দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং ইস্যু। 

তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্যোগ মুহূর্তে সরকারি ছুটির দিনে কর্মস্থল ত্যাগ না করেন সে বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেন।  

সাইদুল ফরহাদ/আরকে