দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। আবহাওয়া অফিস ২নং সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে মানুষকে সরিয়ে নিতে এবং উদ্ধার তৎপরতায় কাজ করবে পায়রা বন্দরের নৌযান।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) সকালে পায়রা বন্দর কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সভায় পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক এসব তথ্য জানান।

পায়রা বন্দরের চেয়ারম্যান বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড় মোখায় পরিণত হয়েছে। আজ সকালে পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১ হাজার ১৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হতে পারে। এতে পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। ঘূর্ণিঝড় মোখার আগে ও পরে স্থানীয়দের পাশে থাকবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ।

তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানার আগে দুর্গম এলাকা বিশেষ করে চরাঞ্চল থেকে সাধারণ মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্র কিংবা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে বন্দরের নৌযানগুলো সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাছাড়া ক্যাপিটাল ড্রেজিং-এর পর এটি হবে প্রথম ঝড়ের অভিজ্ঞতা। এটি কাজে লাগিয়ে কাজ করবে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ। ঘূর্ণিঝড়ে কী ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হবে সে ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।

সভায় পায়রা বন্দরের সদস্য কমোডোর রাজিব ত্রিপুরা, পায়রা বন্দরের সদস্য আরবার ও মেরিন ক্যাপ্টেন জাহিদ হোসেন, পরিচালক (প্রশাসন) কাজি ফারুক, পায়রা বন্দরের সচিব সোহরাব হোসেন, পায়রা বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্র্যাফিক) আজিজুর রহমান, পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম আরিফ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মাহমুদ হাসান রায়হান/এমজেইউ