অতি প্রবল হয়ে ওঠা ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার উপকূল থেকে ৮৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা বেশি উচ্চতায় ঢেউ আসছে। এই অবস্থায় দ্রুত কক্সবাজার ছাড়ছেন বেড়াতে আসা পর্যটকরা। শুক্রবার রাত থেকে পর্যটকদের কক্সবাজার ছাড়তে দেখা গেছে।

শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে কলাতলী পয়েন্টের গাড়ি কাউন্টারে গিয়ে কথা হয় কয়েকজন পর্যটকের সাথে। তারা বলেন, ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার আসতে না পারায় ৫ দিনের ছুটি নিয়ে পরে বেড়াতে আসলাম। কিন্তু ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখন দ্রুত চলে যেতে হচ্ছে। পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে, তাই বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।

কথা হয় মুনিরুল আলম ও রেবেকা নুর নামের এক দম্পতির সাথে। তারা জানান, শুক্রবার সকালেই কক্সবাজার এসেছিলেন তিন দিনের ছুটি কাটাতে। কিন্তু ৮নং বিপদ সংকেত ঘোষণার পর ভয় পেয়েছি। রাতেই ঢাকায় ফিরে যাচ্ছি।

ট্যুর গাইড এসোসিয়েশন অব কক্সবাজারের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান বাপ্পি জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’র কারণে পর্যটকরা কক্সবাজার ছাড়ছেন। তিনি জানান, শনিবার সকাল থেকে পর্যটকশূন্য হয়ে পড়বে কক্সবাজার।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সমুদ্র সৈকতে পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছি। এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।

সাইদুল ফরহাদ/