গভীর সাগর থেকে উপকূলের দিকে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাব এখন নোয়াখালীতে দৃশ্যমান। শুক্রবার (১২ মে) রাত ৮টা থেকে উপকূলীয় এলাকায় মাঝারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। বজ্রমেঘের উপস্থিতিতে বৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম।

হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কায়সার খসরু ঢাকা পোস্টকে বলেন, যেহেতু হাতিয়া দ্বীপ উপজেলা তাই ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। নদী উত্তাল থাকায় হাতিয়ার সেঙ্গে সারাদেশের নৌ যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। এছাড়াও উপজেলার ২৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সিপিপির ১৭৭টি ইউনিটে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ সদস্য প্রস্তুত রয়েছেন। অবস্থার বিবেচনায় ঝুঁকিপূর্ণদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।

নোয়াখালী আঞ্চলিক কার্যালয়ের কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আবহাওয়া অফিসের সর্বশেষ তথ্যমতে, নোয়াখালী ৮ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় এসেছে। ঘুর্ণিঝড় উপকূলের নিকটবর্তী হলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। সমুদ্র উত্তাল থাকবে। মাছ ধরার ট্রলাকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ স্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবিলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের চৌকস সদস্যদের সমন্বয়ে ফাস্ট এইড টিম, সার্চ এন্ড রেসকিউ টিম এবং ওয়াটার রেসকিউ টিম গঠন করা হয়েছে। জেলায় ১০২টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ঔষধ-পত্রাদি মজুদ আছে। ৪৬৩টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ০৩টি মুজিব কিল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যার ধারণ ক্ষমতা ৩ লাখ ৩ হাজার ৬০০ জন। সিপিপি'র ৮ হাজার ৩৮০ জন এবং রেড ক্রিসেন্ট এর ৫৭০ জন স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকায় ১ লাখ ৫০ হাজার পিস পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ত্রাণ কার্যে নগদ-  ৯ লাখ ৯৫ হাজার টাকা, ৩৮২ মেট্রিক টন চাল এবং ২৪৩ বাণ্ডিল ঢেউটিন মজুদ রয়েছে। জেলা পর্যায়ে কন্ট্রোলরুম স্থাপন করা হয়েছে। (কন্ট্রোলরুমের নম্বর: 01700-716696)। সকল সরকারি কর্মকর্তা/কর্মচারীকে কর্মস্থলে থাকতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি সর্বস্তরের জনপ্রতিনিধিদের নিজ নিজ এলাকায় থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। সকল সরকারি-বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

হাসিব আল আমিন/এবিএস